মুম্বই: কাজ খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৯ বছরের এক তরুণীকে মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর এ আত্মীয়। সেখানে গিয়ে কাজ তো দেননি। উল্টে নিজের তিন বন্ধুকে সঙ্গে মহিলাকে গণধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ বছরর তরুণীর বাড়ি কলকাতায়। তিনি বিবাহিত। ঘটনা নিয়ে মুম্বইয়ের নেহরুনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা তরুণী। এর পরই গণধর্ষণে চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। নেহরুনগর থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এ বছর মার্চ মাসে কলকাতা থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন নির্যাতিতা। তাঁকে কলকাতার বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনা নিয়ে মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার মঙ্গলবার বলেছেন, “১৯ বছরের এক বিবাহিত মহিলা কাজের খোঁজে মুম্বইয়ে এসেছিলেন। এ বছর মার্চে এক আত্মীয়ের সঙ্গেই এসেছিলেন তিনি। এর পর মুম্বইয়ের কুলরা এলাকায় তাঁকে গণধর্ষণ করে চার জন। ওই আত্মীয় ও তাঁর তিন বন্ধু মিলেই অত্যাচার চালিয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” অভিযোগ পাওয়ার পর মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুতে পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক তরুণী। সেই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। বেঙ্গালুরুতে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার ওই ছাত্রী। একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। ওই বাড়িওয়ালা মার্বেলের ব্যবসা করত। ছাত্রীর ঘরে তাঁর প্রেমিকের আসা নিয়ে আপত্তি জানাতেন অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা। ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, প্রেমিকের আসা নিয়ে প্রায়শই হেনস্থা করা হত তাঁদের। এমনকি তাঁর বাবা-মাকে তাঁর চরিত্র নিয়ে নোংরা কথা বলে হেনস্থা করার ভয়ও দেখাত। ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা। এর পরই ওই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান কলকাতার ওই ছাত্রী। অভিযোগ, এর পরই একদিন রাতে মত্ত অবস্থায় এসে বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন বাড়িওয়ালা।