ভুবনেশ্বর : স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। অভিমান করে চলে গিয়েছিলেন অন্য এক মহিলার সঙ্গে। কিন্তু পরিণতি এরকম ভয়ঙ্কর হতে পারে তা ভাবতেও পারেননি। ১.৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রাজস্থানে পাচার হয়ে গেলেন ওড়িশার এক বিবাহিত মহিলা। শুধু তাই নয়, বিবাহিত মহিলার আবার জোর করে বিয়েও দেওয়া হল। পশ্চিম ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া পুলিশ অবশেষে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝাড়সুগুড়া সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বিকাশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে মধ্যপ্রদেশের নিমাচ জেলার রামপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “৭ এপ্রিল আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক বিবাহিত মহিলাকে ঝাড়সুগুড়া থেকে পাচার করা হয়েছে। এক মহিলা এবং তাঁর আরও দুই সহযোগী তাঁকে রাজস্থানে নিয়ে যান। পরে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে মনোজ প্রজাপতি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।”
মহিলা ঝাড়সুগুড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুরো ঘটনার সূত্রপাত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ঘিরে। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর অভিমান করে থাকেন ওই মহিলা। তারপরই সুপ্রিয়া প্রজাপতি নামের এক মহিলা ওই মহিলাকে তোশামোদি করে তাঁকে রাজস্থানে নিয়ে যান। তারপর এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। তার বিনিময়ে পান ১.৫ লক্ষ টাকা। পুলিশের জালে কয়েকজন অভিযুক্ত ধরা পরার পর এই পুরো ঘটনাটি সামনে আসে। গত ৭ এপ্রিল তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছিলেন ঋষিকেশ শেঠি, কিরণ শেঠি এবং দানিশি। এরপর ১৩ এপ্রিল আরও দু’জন গ্রেফতার হন সুপ্রিয়া প্রজাপতি এং মনোজ প্রজাপতি। অভিযুক্ত মনোজ প্রজাপতি বলেছেন, “আমি ওই মহিলাকে বিয়ে করেছি। এবং তার জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। আমি জানতাম না তিনি আগে থেকেই বিবাহিত এবং তাঁর এক সন্তানও আছে।”
আরও পড়ুন : PM Modi : ‘২৫ বছরেই ঘুচবে বেকারত্বের জ্বালা,’ হনুমান জয়ন্তীতে নতুন দিশা মোদীর