নয়া দিল্লি: বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস হয়েছিল, দাম্পত্যের সুখ কী, তা ঠিকভাবে হয়তো অনুভবও করতে পারেননি, তার আগেই বিধবা হন স্মৃতি সিং। সিয়াচেনের সেনা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে সহকর্মীদের বাঁচাতে গিয়েই শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। সম্প্রতিই তাঁকে কীর্তি চক্রে সম্মানিত করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সম্মান গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী স্মৃতি সিং ও মা মঞ্জু দেবী। তবে অংশুমানের অবর্তমানে যাবতীয় কিছুতে স্ত্রীর অধিকার নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেনার এই নিয়মে পরিবর্তন চেয়েছেন শহিদ অংশুমানের মা-বাবা। এবার পুত্রবধূর সম্পর্কে বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে আনলেন মঞ্জু দেবী।
TV9 ভারতবর্ষকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শহিদ ক্য়াপ্টেন অংশুমানের মা-বাবা পুত্রবধূর প্রশংসা করলেও, একইসঙ্গে আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন। মঞ্জু দেবী বলেন, “আমার পুত্রবধূ খুব ভাল ছিল। বিয়ের পর আমার ছেলে যখন ডিউটিতে বাইরে ছিল, আমাদের সঙ্গে ও চার মাস ছিল। এরপরে একদিন ফোন আসে। আমার ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাই। ওই ঘটনার ১৩ দিন পর্যন্ত দেওরিয়ার বাড়িতেই ছিল স্মৃতি। এরপর একদিন ওর পরিবার থেকে বলা হয়, একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছে ওকে। তাড়াতাড়িই ফিরে আসবে ও। কিন্তু তারপর আর স্মৃতি ফেরেনি আমাদের কাছে।”
মঞ্জু সিং আরও জানান, ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাড়িতে পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে স্ত্রীর উপস্থিতি আবশ্যক ছিল, তাই তিনি পুত্রবধূকে ডেকেছিলেন। অন্তত একদিনের জন্য আসতে বলেছিলেন। তাঁকে স্মৃতি বলেছিল, “মা আমি আসব”। কিন্তু এরপরই নাকি তাঁর নম্বর ব্লক করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, “যখন কীর্তি সম্মান চক্র ঘোষণা করা হয়, তখন স্মৃতি আমায় ফোন করে। এমনকী, আমরা যখন সম্মান নিতে গিয়েছিলাম, আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।”