‘একবার ছুঁয়েও দেখতে পারলাম না…’, শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমানের স্ত্রীর এই ব্যবহারে চোখে জল মা-বাবার
Captain Angshuman Singh: কীর্তি চক্র নিয়ে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা জানান, পুত্রবধূ স্মৃতি সিং আমাদের সঙ্গে থাকে না। ছেলে চলে যাওয়ার পর পুত্রবধূও আর থাকেনি তাঁদের কাছে।
লখনউ: দেশের সেবা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন ছেলে। তাঁর বীরত্বকে সম্মান জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান, কীর্তি চক্রে সম্মানিত করেছে। তবে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা-বাবার আক্ষেপ, তাঁরা একবারও মেডেলটা ছুঁয়েও দেখতে পারলেন না।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে কীর্তি চক্র গ্রহণ করেছিলেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ে স্ত্রী স্মৃতি সিং ও মা মঞ্জু দেবী। তবে এরপরই জানা যায়, স্মৃতি সিং তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন না। অংশুমানের মৃত্য়ুর পরই তিনি বাপের বাড়ি ফিরে যান। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা তো দূর, মঞ্জু দেবীকে ব্লকও করে দিয়েছিলেন! TV9 ভারতবর্ষকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন শহিদের মা-বাবা। এবার তাঁরা আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন।
কীর্তি চক্র নিয়ে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের বাবা জানান, পুত্রবধূ স্মৃতি সিং আমাদের সঙ্গে থাকে না। ছেলে চলে যাওয়ার পর পুত্রবধূও আর থাকেনি তাঁদের কাছে।
ছেলে সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য সম্মান পেয়েছে। তাঁর বাবার আক্ষেপ, ছেলেকে দেওয়া কীর্তি সম্মান একবার ছুঁয়েও দেখতে পারেননি। তিনি বলেন, “এটা তো আমার ছেলেকে সাহসিকতার জন্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। আলমারির শোভা বাড়ানোর জন্য সাজিয়ে রাখার জিনিস নয়।”
অংশুমানের বাবার অভিযোগ, ওঁর (শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান) মূর্তি উন্মোচনের জন্য স্মৃতির পরিবারকে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁদের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
অংশুমানের মাও বলেছেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে শহিদের মা-বাবা হয়েও পদকটি আমরা একবার ছুঁয়ে দেখতে পারলাম না। যদি স্মৃতি জানিয়ে যেত যে সে সম্পর্ক রাখতে চায় না, তবে হয়তো এতটা দুঃখ পেতেন না।”