
১০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান। সোমবারও এক সাংবাদিক বৈঠকে সেই একই কথা শোনা যায় তাঁর কথায়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক অশান্তির আবহে তৃতীয় ব্যক্তির মতো আমেরিকার ঢুকে পড়া যে মোটে পছন্দ করছে না নয়াদিল্লি তা এবার গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিল।
মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তাঁর বার্তাতেই এদিন স্পষ্ট হয়ে যায় আমেরিকার নাক গলানোয় কতটা বিরক্ত নয়াদিল্লি। এমনকি কাশ্মীর ইস্যু যে ভারত নিজেই সমাধান করে নিতে পারে তাও জানিয়ে দিয়েছে।
এই দিন রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর আভ্যন্তরীণ বিষয়। এই সমন্ধে যে কোনও বিষয় পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা বুঝে নেব। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা এই নীতিতে চলছি। তার কোনও বদল হচ্ছে না। পাকিস্তান অন্যায় ভাবে ভারতের যে জায়গা দখল করে রেখেছে তা খালি করতে হবে।”
শুধু এখানেই নয়, ক’দিন ধরে যে জল্পনা হচ্ছিল যে, আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসায়ী সম্পর্ক ঠিক রাখতেই পাকিস্তানের উপর আঘাত বন্ধ করেছে ভারত, তাও কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই পরিস্থিতির গুরুত্ব তাদের শক্তি ও জ্ঞান দিয়ে বুঝে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা অনেকটাই সাহায্য করেছি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাহায্য করব এটা বলেছি। এগিয়ে আসুন, আপনাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা বাড়াব। সংঘাত বন্ধ করুন, করলেই বাণিজ্য করব। যদি না করেন তাহলে করব না। এর আগে কেউ বাণিজ্যকে এ ভাবে ব্যবহার করেনি, আমই যেভাবে করেছি।”
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি নিয়ে রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টটই জানিয়ে দেন ব্যবসা নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি ভারতের। তিনি বলেন, “দুই দেশের নেতার মধ্যে যখন ভারত-পাকিস্তান সামরিক অভিযান নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন ব্যবসা সম্পর্কিত একটাও কথা হয়নি।”