হায়দরাবাদ: প্রাণবায়ু সঙ্কটের এই মারণ ক্ষতয় প্রলেপ লাগাচ্ছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। একাধিক হাসপাতালে প্রাণবায়ুর পর্যাপ্ত জোগান নেই। তাই অক্সিজেন না পেয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেনের সঙ্কট মেটানোর জন্য যা যা করণীয় সব করছে। অক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতে করোনা যুদ্ধে নেমেছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। বিদেশ থেকে অক্সিজেন আনিয়ে দেশের মানুষকে প্রাণবায়ু জোগাতে উদ্যোগী হায়দরাবাদের এই সংস্থা।
অক্সিজেন সঙ্কটের এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাইল্যান্ড থেকে এ দেশে ১১টি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন ট্যাঙ্কার আনছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রত্যেকটি ট্যাঙ্কে ১ কোটি ৪০ লক্ষ লিটার অক্সিজেন আসছে দেশে। এই ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন দিয়ে দেশের অক্সিজেন ঘাটতি কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগেই তেলেঙ্গনা সরকারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৫০০-৬০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মেঘা ইঞ্জিনায়িং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এছাড়াও রোজ প্রতি সিলিন্ডারে ৭,০০০ লিটার অর্থাৎ মোট ৩৫ লক্ষ লিটার অক্সিজেন সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছে এই সংস্থা। ইতিমধ্যেই নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স, সরোজিনি দেবী চক্ষু হাসপাতাল, অ্যাপলো ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স, হায়দরাবাদ কেয়ার হাই-টেক হাসপাতালকে অক্সিজেন রিফিল পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
প্রথম দফায় তাইল্যান্ড থেকে ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলি এসেছে হায়দরাবাদের বেগুম্পেট বিমানবন্দরে। শনিবার বিকেল ৩টেতেই এসে পৌঁছেছে প্রথম লটের অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলি। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড জানিয়েছে, এই ট্যাঙ্কারগুলি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে তারা। ১১টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কে মোট ১৫ কোটি ৪০ লক্ষ লিটার অক্সিজেন আসবে দেশে।
মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তাইল্যান্ড থেকে অক্সিজেন আনার এই সম্পূর্ণ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে তেলেঙ্গনা অর্থ মন্ত্রী টি হরিশ রাও ও তেলেঙ্গনা সরকারের মুখ্য় সচিব সোমেশ কুমার। ব্যাংকক থেকে যাতে ঠিক মতো ভারতে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অক্সিজেন ট্যাঙ্ক পৌঁছতে পারে সে দিকে খেয়াল রেখেছিল বিদেশ মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এ বিষয়ে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পি রাজেশ রেড্ডি জানিয়েছেন, এই ১১টি ট্যাঙ্ক রাজ্য সরকারকে সাহায্য করবে। দেশে অক্সিজেনের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যবধান ঘোঁচানোই উদ্দেশ্য মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের।
আরও পড়ুন: ‘মানুষ বড় কাঁদছে’, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাণবায়ু জোগাচ্ছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং