
ইন্দোর: মেঘালয় হানিমুন মার্ডার কেসে আবার নতুন মোড়। এবার রাজা রঘুবংশীর বাড়িতে হাজির এক ভুয়ো পুলিশ। কী করতে এসেছিলেন ওই ভুয়ো পুলিশ?
চলতি বছরের অন্যতম চর্চিত ঘটনা মেঘালয়ে হানিমুনে খুন। পরিবারের দেখাশোনায় বিয়ে, তারপরই স্বামী রাজা রঘুবংশীকে নিয়ে গত মে মাসে হানিমুনে মেঘালয় গিয়েছিলেন সোনম রঘুবংশী। তবে তাঁর পরিকল্পনা ছিল অন্য কিছু। প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সাহায্যে, সুপারি কিলার দিয়ে স্বামী রাজাকে খুন করিয়েছিল সোনম রঘুবংশী। নিজে পালিয়ে গিয়েছিল উত্তর প্রদেশে। এই খুনের রহস্য উন্মোচন করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছিল পুলিশকে। এবার নিহত সেই রাজা রঘুবংশীর বাড়িতেই হঠাৎ হাজির ভুয়ো পুলিশ।
ইন্দোর পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ওই ব্যক্তি নিজেকে রেলওয়ে পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং রাজা রঘুবংশীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। ধৃত ব্যক্তি নিজেকে রাজার বন্ধু বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন যে দিল্লিতে একটি থানার স্টেশন হাউস অফিসার।
রাজার পরিবারের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন যে ২০২১ সালে উজ্জয়নের মহাকাল মন্দিরে রাজার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। এই কথাতেই রাজার মায়ের সন্দেহ হয়, কারণ ২০২১ সালে করোনা সংক্রমণ চলছিল, সেই সময় উজ্জয়ন বা কোথাও যাননি রাজা।
রাজা রঘুবংশীর মা তাঁর বড় ছেলে সচিনকে সতর্ক করতেই ওই ব্যক্তি নিজের কাহিনী বদলাতে শুরু করেন। এমনকী পালানোরও চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ এসে তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তির নাম বজরং লাল। তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে আরপিএফের ব্যাজ, তিনটি স্টার যুক্ত ইউনিফর্ম ও লাল জুতো উদ্ধার হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির দাবি, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ড দেখেই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তদন্ত করতে। তবে পুলিশের অনুমান, রাজা রঘুবংশীর পরিবারকে প্রতারিত করে টাকা আদায়ের উদ্দেশেই এসেছিলেন ওই ব্যক্তি।