এই গ্রামে জন্মালেই নাকি পাপ, সবারই নাকি একই ‘রোগ’! গ্রামের একটা ছেলেরও বিয়ে হয় না সেই কারণেই

Bizarre: কোনও পরিবারই তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছে না। এমনকী, আত্মীয়-স্বজনরাও বাড়িতে আসতে চান না। অবিবাহিতই রয়ে যাচ্ছেন গ্রামের পুরুষরা। হা-হুতাশ করছেন কেন এই গ্রামে জন্ম নিয়েছেন! কেন জানেন?

এই গ্রামে জন্মালেই নাকি পাপ, সবারই নাকি একই রোগ! গ্রামের একটা ছেলেরও বিয়ে হয় না সেই কারণেই
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Meta AI

|

Feb 08, 2025 | 5:49 PM

লখনউ: একটা গ্রাম, যেখানে কারোর বিয়ে হচ্ছে না। কোনও পরিবারই তাদের মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছে না। এমনকী, আত্মীয়-স্বজনরাও বাড়িতে আসতে চান না। অবিবাহিতই রয়ে যাচ্ছেন গ্রামের পুরুষরা। হা-হুতাশ করছেন কেন এই গ্রামে জন্ম নিয়েছেন! কেন জানেন?

উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলার নবাবগঞ্জ ব্লকের রুদোয়ারা গ্রামে কোনও যুবকের বিয়ে হচ্ছে না। নেপথ্যে একটা ছোট পোকা। গ্রাম জুড়ে এত বেশি মাছি হয়েছে যে গ্রামবাসীদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। মাছিদের কারণে গ্রামবাসীরা ঠিকমতো খেতে বা ঘুমাতে পারছে না। খেতে বসলেই হাজার হাজার মাছি খাবারের উপর বসে।

মাছির উপদ্রবের কারণে গ্রামের বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের কাছে হাজার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমন অবস্থা যে গ্রামবাসীরা মশারির ভিতরে বসে খাবার খান।

গ্রামের পুরুষরা জানিয়েছেন, এমন মাছির উপদ্রব যে এই গ্রামে কেউ বিয়ে করতে রাজি নন। কোনও সম্বন্ধ আসে না। যারা বিবাহিত, তারাও এই গ্রামে থাকতে চান না। আত্মীয়-স্বজনরাও এড়িয়ে যান।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এনওসি ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত পোল্ট্রি ফার্ম হাউসের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অফিসাররা আসলেও, তারা কেবল পরিদর্শন করেই চলে যান। আগে যাদের হাঁস-মুরগির খামার ছিল তারা গ্রামে ওষুধ স্প্রে করত। এতে মাছি কমত। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। মাঠে মরা মুরগি ফেলে দেওয়াতেই এত মাছির উপদ্রব।