Merchant Navy Murder Case: চোখে-মুখে অনুতাপের ছাপ নেই, গাঁজা ও মরফিনের দাবিতে জেল মাথায় তুলছে মুসকান-সাহিল

Meerut Murder Case Update: মুসকান ও সাহিল দুজনেই ভীষণভাবে মাদকাসক্ত। গ্রেফতার হওয়ার পর মাদক সেবন করতে না পারায়, তাদের উইথড্রল সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে। মাদক না পেলে, তারা খাবার খাবে না বলেই জেদ ধরেছে। মিরাট ডিস্ট্রিক জেলে বন্দি থাকা মুসকান ও সাহিলের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

Merchant Navy Murder Case: চোখে-মুখে অনুতাপের ছাপ নেই, গাঁজা ও মরফিনের দাবিতে জেল মাথায় তুলছে মুসকান-সাহিল
অভিযুক্ত সাহিল ও মুসকান।Image Credit source: PTI

|

Mar 23, 2025 | 9:41 AM

লখনউ: স্বামীকে খুন, কুচি কুচি করে কেটে মৃতদেহ ড্রামে ভরেই প্রেমিকের সঙ্গে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল মুসকান। বরফে ঢাকা সিমলা-মানালিতে প্রচুর ছবি তুলেছিল। একটা ছবি দেখেও বোঝার উপায় নেই, কিছু ঘণ্টা আগে সে খুন করে এসেছে। মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী মুসকান রাস্তোগী ও তাঁর প্রেমিক সাহিল শুল্কাকে। এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এল। জেলে বসে কী করছেন মুসকান ও সাহিল? জানলে চোখ কপালে উঠবে।

পুলিশ জানিয়েছে, জেলে খাবার খাচ্ছেন না মুসকান ও সাহিল। সাধারণত ভাত-ডাল তাদের মুখে রুচছে না। তাদের শুধু একটা জিনিসই চাই-মাদক। হ্যাঁ, মুসকান ও সাহিল, দুজনেই মাদকাসক্ত। তারা জেলে বসেও লাগাতার গাঁজা ও মরফিন ইঞ্জেকশন দাবি করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মুসকান ও সাহিল দুজনেই ভীষণভাবে মাদকাসক্ত। গ্রেফতার হওয়ার পর মাদক সেবন করতে না পারায়, তাদের উইথড্রল সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে। মাদক না পেলে, তারা খাবার খাবে না বলেই জেদ ধরেছে। মিরাট ডিস্ট্রিক জেলে বন্দি থাকা মুসকান ও সাহিলের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আশঙ্কা, মাদকের জন্য তারা নিজেদের ক্ষতি বা অন্যদের উপরে হামলাও করতে পারে।

জেলের আসার পরদিন থেকেই মুসকানের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবুও মরফিন শট নেওয়ার জন্য ক্রমাগত জেদ করছেন। অন্যদিকে, গাঁজায় আসক্ত সাহিল। নেশা করতে না পেরে অস্থির হয়ে উঠছে সে, অশান্তি করছে।

মিরাটের বাসিন্দা মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ শুল্কা কর্মসূত্রে লন্ডনে থাকতেন। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষেই তিনি মার্চ মাসের শুরুতে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু স্বামীর আসা পছন্দ করেননি মুসকান, কারণ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সে। ৪ মার্চ স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে মুসকান। তারপর প্রেমিকের সাহায্যেই স্বামীকে খুন করে। মুরগি কাটার ছুরি সোজা স্বামীর বুকে গেঁথে দেয়। সৌরভের হৃৎপিণ্ড এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। খুনের পর সৌরভের দেহ ১৫ কুচি করে মুসকান ও সাহিল।  ড্রামে দেহ ভরে তা সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেয়। খুনের পর মুসকান তাঁর প্রেমিককে নিয়ে হিমাচল প্রদেশ ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে তাঁরা হোলি খেলে, সাহিলের জন্মদিন পালন করে।