লখনউ: মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের খুনের ঘটনায় শোরগোল গোটা দেশে। কীভাবে স্ত্রী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করল এবং তাঁর দেহ ১৫ কুচি করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দিয়েছিল, তা ভেবেই অবাক হচ্ছে তদন্তকারী পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই হাজতে অভিযুক্ত মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিল। তদন্তে মোড় ঘুরতে পারে পুলিশের একটা চালে।
বর্তমানে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন মুসকান ও সৌরভ। তবে জেলে তাঁরা কার্যত তাণ্ডব করছেন। দুজনেই এতটা মাদকাসক্ত যে জেলে বসেও নেশার জন্য গাঁজা, মরফিন শটের দাবি করছে। জেদ করে খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে দুইজন। তাদের কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, মুসকান ও সাহিল আদালতে নিজেদের পক্ষ উপস্থাপনের জন্য সরকারি আইনজীবীর দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, জেলে মুসকানের প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো হবে। এই বিষয়ে জেলের সুপার বীরেশ রাজ শর্মা বলেছেন, “এটা নিয়ম। যখনই কোনও মহিলা বন্দিকে জেলে আনা হয়, তখন প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো হয়। ৭ দিন পর এই টেস্ট করা হবে।”
পাশাপাশি পুলিশ সাহিল ও মুসকানকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও মুসকান এবং সাহিলকে আরও কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার বাকি আছে। দুজনে তন্ত্রসাধনা, কালাজাদুতে বিশ্বাসী ছিল। সৌরভকে খুনের সময়ও তান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করেছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে সিমলা, মানালি এবং কাসোলে নিয়ে যেতে পারে। সৌরভকে খুন করে ড্রামে ভরে তারা এই জায়গাগুলিতেই ঘুরতে গিয়েছিল।