
মুম্বই: কলকাতা পারেনি, কিন্তু হায়দরাবাদ করে দেখিয়েছে, এবার করে দেখাল মুম্বইও। মেসি-ম্যাজিকে মজল মায়ানগরী। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম দেখল ফুটবলের রাজপুত্রের বা পায়ের জাদু। তেরঙা হাতে ছবিও তুললেন এলএম ১০। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তো ছিলেনই ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, সুনীল ছেত্রীরাও। ছিলেন বলিউডের একঝাঁক তারকা। সচিনকে নিজের সই করা বল উপহার দিলেন মেসি, অন্যদিকে মাস্টার ব্লাস্টার তাঁকে দিলেন জার্সি। মেসির ভূয়সী প্রশংসা করে গোটা দেশের হয়ে ধন্যবাদও জানাতে দেখা গেল সচিনকে।
বারবার একই ফ্রেমে দেখা গেল দুই কিংবদন্তিকে। গ্যালারিতে উঠল সচিন সচিন রব। করতালি দিলেন মেসি। আর তার ঠিক পরেই ফের গ্যালারি মাতল মেসি মেসি রবে। একরাশ হাসি নিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখলেন সচিন। মাইক হাতে বললেন, “মেসির একনিষ্ঠতা, দৃঢ় সংকল্পের আমরা সর্বদা প্রশংসা করি।”
এদিকে ভারত সফরে এসে প্রথমেই পা রেখেছিলেন কলকাতায়। দর্শকদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। শনিবার সকাল থেকে সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু মুহূর্তেই ছন্দপতন। ভিআইপি-দের ভিড়ে বঞ্চিত ভক্তরা। আর মেসি-দর্শন অধরা হতেই ক্ষোভের আগুন আছড়ে পড়েছিল গোটা স্টেডিয়ামে। রাস্তা থেকেই ফিরে যেতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনুষ্ঠানের মাঝেই মাঠ ছাড়েন মেসিও। আর তারপরই যুবভারতীতে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব দেখেছিল গোটা রাজ্য, গোটা দেশ, গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানের টিকিটের টাকা ফেরতের কথা বলেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। তা নিয়ে বাংলা তো বটেই গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলেই তোলপাড় চলছে।