নয়াদিল্লি: বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস (IPS) অফিসারের ‘অ্যাটাচ’ চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, রাজীব মিশ্র, ভোলানাথ পাণ্ডে ও প্রবীণ ত্রিপাঠী নামের এই তিন অফিসারকে ডেপুটেশনে অ্যাটাচ চেয়ে পাঠানো হয়েছে দিল্লি থেকে। যদিও তাঁরা আদৌ দিল্লির ডাকে সাড়া দেবেন কিনা,সেটা নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর। রাজ্যের পক্ষ থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেওয়া হলে তবেই দিল্লি যেতে পারবেন তাঁরা।
রাজ্যের একের পর এক শীর্ষ আধিকারিকে নজিরবিহীনভাবে ডেকে পাঠানোর ঘটনাকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না শাসক দল। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “এরকম করা যায় না, সেন্ট্রাল সুপারিশ করতে পারে। তবে আইনত এদের ছাড়া হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। যেহেতু তারা নির্দিষ্ট রাজ্যের ক্যাডার।” শাসক দলের আরেক বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও কড়া ভাষায় বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে। তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘চাকর’ না হয়ে যেতে বলেছেল তিনি।
আরও পড়ুন:ফাইজ়ারকে ছাড়পত্র দিল হোয়াইট হাউস, টিকাকরণ শুরু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই
যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, এই তিন আইপিএস-কে রাজ্য সরকার দিল্লি যাওয়ার অনুমতি দেবে না। আইপিএস রাজীব মিশ্র হলেন দক্ষিণবঙ্গের আইজি, প্রবীণ ত্রিপাঠী ডিআইজি এবং ভোলানাথ পাণ্ডে ডায়মন্ড হারবারের এসপি।
বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির বঙ্গ সফর শেষ হলেও তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দড়ি টানাটানি যেন বেড়েই চলেছে। প্রথমে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিস প্রধান ডিজি বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের তরফে সেই বৈঠক থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেওয়া হয়। তবে রাজ্যের শাসক দলে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার কখনই এভাবে রাজ্যের শীর্ষ পদাধীকারিকদের ডেকে পাঠাতে পারে না বলে দাবি করে তৃণমূল। এরপরই নতুন করে তিন আইপিএস অফিসারের অ্যাটাচ চাওয়ার ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: “নয়া কৃষি আইনে আয় বাড়বে কৃষকদেরই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী