
সকালে আদমপুর এয়ারবেসে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বিকেলবেলা ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এদিনও নয়াদিল্লি থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন তিনি।
রণধীরবাবু পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন, কাশ্মীরের বিষয়ে আমেরিকার নাক গলানো পছন্দ করছে না ভারত। তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর অন্দরের বিষয়। ভারত এবং পাকিস্তান এই সমন্ধে যে কোনও বিষয় নিজেরা বুঝে নেবে। এই নীতিতে কোনও বদল হচ্ছে না। পাকিস্তান অন্যায় ভাবে ভারতের যে জায়গা দখল করে রেখেছে তা খালি করতে হবে।”
সংঘর্ষ বিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, “দুই DGMO-এর মধ্যে ১০ তারিখে কথা হয়। পাকিস্তানি হাই কমিশন ভারতের DGMOকে ফোন করে। প্রথমে ফোন না পেলেও পরে দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে দুই দেশের DGMOর মধ্যে কথা হয়। পাকিস্তান হামলা চালালে ভারত চালাবে। পাকিস্তান বন্ধ করলে ভারত করবে।”
সংঘর্ষ বিরতিতে গেলেও সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি যে এখনও স্থগিত থাকছে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। রণধীর বাবু বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া যতদিন না বন্ধ না করবে, সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত থাকবে।” পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম বাণিজ্য যে এখন বন্ধ থাকবেই তাও জানিয়ে দেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের এক্স মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্প দুই দেশকেই বলেছিলেন যদি পরিস্থিতি শান্ত না হয়, তাহলে দুই দেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করবে আমেরিকা। যদিও রণধীর জয়সওয়াল জানান, এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।
পহেলগাঁও হামলার বিষয় নিয়ে তিনি জানান, তদন্ত এখনও চলছে। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’এই হামলার দায়িত্ব নিয়েছে। হয়তো অনেক হ্যান্ডেলার আগেই পাকিস্তান ফেরত চলে গিয়েছিল। তদন্তের বাকি তথ্য পরে জানানো হবে।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে রণধীর বলেন, “হেরে গিয়ে ঢোল বাজানো পাকিস্তানের পুরনো স্বভাব। এখন স্যাটেলাইট ছবি কিনতে পাওয়া যায়। পাকিস্তান যেখানে যেখানে অ্যাটাক করেছে বলেছে সেখানকার ছবি দেখে নিন। আমরা যেখানে যেখানে পাকিস্তানের উপর হামলা করেছি তাও দেখে নিন। সত্যিটা বুঝে যাবেন।”