Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Superman : বাস্তবের দুনিয়ায় ‘সুপারম্যান’ হয়ে ওড়ার ইচ্ছে, কিন্তু মুহুর্তেই এই পরিণতি নাবালকের…

Superman : নয়ডায় ১২ বছরের এক নাবালক সুরজিৎ সুপারম্যান হয়ে ওড়ার চেষ্টা করছিল। সেইসময় সুপারম্যান স্টান্টের ভিডিয়ো করছিল তারই ছোটো বোন। গলায় কাপড় জড়িয়ে কাঠের বাক্স থেকে ঝাঁপ দিতেই ফাঁস লেগে মারা যায় সে।

Superman : বাস্তবের দুনিয়ায় 'সুপারম্যান' হয়ে ওড়ার ইচ্ছে, কিন্তু মুহুর্তেই এই পরিণতি নাবালকের...
ছবি সৌজন্যে : গুগল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 9:42 PM

লখনউ : টিভির পর্দা বা সিনেমা হলের বড় স্ক্রিন। সেখানে দেখানো একাধিক বিষয় দেখে আমরা প্রতিদিন অনুপ্রাণিত হই। আবার কোনও সিনেমা বা সিরিয়ালের বিশেষ কোনও দৃশ্য আমাদের মনে ধরে যায়। ভালো লেগে যায়। সেখান থেকে তৈরি হয় পছন্দের নায়ক, নায়িকা। বা কখনও কোনও চরিত্র আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। নকলও করার চেষ্টা করি সেই চরিত্রকে। আবার কখনও গোটা সিনেমাটাই কেউ কেউ অভিনয় করে ফেলে নিজের বাড়িতে। এরকম বহু গল্পের কথা শোনা যায়। কিন্তু এই নকল বা অনুকরণ যে বিপদ ডেকে আনতে পারে তা ভাবনাতীত।

১২ বছরের একটি ফুটফুটে ছেলে। নয়ডার পারথালা গ্রামে তার বাড়ি। ছোটো থেকেই সুপারম্যান দেখতে ভালোবাসে। এবং তাকে অনুকরণও করে মাঝে মাঝেই। কিন্তু পছন্দের চরিত্রকে নকল করতে গিয়ে নিজের জন্য এত বড় বিপদ ডেকে আনবে তা সে কল্পনাও করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যবশত তার স্বপ্নের ‘সুপারম্যান’ তাঁকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতেও আসেনি। ১২ বছরের সুরজিৎ তার চার বোনের সঙ্গে খেলা করছিল। খেলার মূল বিষয়ই ছিল সুপারম্যান স্টান্ট। মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো করছিল তার ১১ বছরের বোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্যই এই ভিডিয়ো করা হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো হওয়ার বদলে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল সেই ভিডিয়ো।

সুপারম্যান হওয়ার জন্য একটি কাপড় গলায় জড়িয়েছিল সুরজিৎ। তারপর কাঠের বাক্স থেকে লাফ দিয়ে সুপারম্যানের মতো উড়তে চেয়েছিল। কিন্তু কাঠের বাক্স থেকে লাফ দিতেই বাক্সের কোণায় গলার কাপড়টি লেগে যায়। ফাঁস লেগে যায় ১২ বছরের ‘সুপারম্যানের’। পুরো ঘটনাটি ভিডিয়ো করে তার বোন। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য করা সুপারহিরো স্টান্টের বদলে ভাইয়ের মৃত্যুর ভিডিয়ো করছে মেয়েটি তা আগে বুঝতে পারেনি। সেই সময় সঙ্গে ছিল সুরজিতের আরও তিন বোন। সুরজিতের এই অবস্থা ডেকে সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠে। তারপরই মা সুরজিৎকে দেখে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না।