হরিয়ানা: মা-বাবা বেশি ভালবাসে ছোটভাইকে। ১৫ বছরের নাবালিকার এমনটাই মনে হতো সব সময়। এ নিয়ে ভাইকে হিংসাও করত সে। এ নিয়ে ক্ষোভের জেরে ভাইকে খুন করার অভিযোগ উঠল দিদির বিরুদ্ধে। মৃত নাবালকের বয়স ১২ বছর। ১২ বছরের ভাইকেই গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠেছে দিদির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার বল্লভগড়ে। মঙ্গলবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মৃত ছেলের বাবা-মা খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁদের ছেলেকে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা একটি চাদরের নীচে দেখতে পান ছেলের দেহ। নিথর অবস্থায় পড়েছিল সে। তাঁকে জাগানোর চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। তা করতে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে ওই ছেলেটির।
অন্যান্য দিনের মতোই ছেলে ও মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ১২ বছরের ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। তার পর একটি চাদরের নীচে ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথে ছেলেকে ডাকাডাকি করছিলেন তাঁরা। তার পর বুঝতে পারেন তাঁদের ছেলে আর বেঁচে নেই। তখন তাঁরা দেখেন, ছেলের গলায় দাগ রয়েছে। মৃতের মা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তাঁদের মেয়ে বাড়িতে ছিল। এর পর খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা ও তার ভাই উত্তর প্রদেশে দাদু-দিদার কাছে থাকে। গরমের ছুটিতে তারা বাবা-মায়ের কাছে হরিয়ানার বল্লভগড়ে এসেছিল। ওই নাবালিকা মনে করে, তার বাবা-মা তার থেকে তার ভাইকে বেশি ভালবাসে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওই নাবালিকার ভাই মোবাইলে গেম খেলছিল। সে সময় ওই নাবালিকা ফোন চায়। কিন্তু তার ভাই তাকে ফোন দেয়নি। এই রাগেই সে গলা টিপে মেরে ফেলে নিজের ভাইকে।