আইজল: মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পোড়ালেন তাঁর কন্যা। যার জেরে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হল তাঁকে। তবে তাতেও জনগণ, বিশেষ করে চিকিৎসক সম্প্রদায়ের ক্ষোভ মিটছে না। তাই, এখন প্রবল চাপে জোরামথাঙ্গা। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে মিলারি ছাংতের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে রাজ্যের এক চিকিৎসককে চরম লাঞ্ছনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি, আর তারপরই ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। আইজলের এক ক্লিনিকে এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে গিয়েছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার মেয়ে মিলারি ছাংতে। সূত্রের খবর, আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখতে অস্বীকার করেছিলেন ওই চিকিৎসক। সূত্রের খবর, তাতেই প্রবল চটে যান মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারছেন না তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মেয়েকে। তিনি ওই চিকিৎসকের দিকে আগ্রাসীভাবে এগিয়ে গিয়ে তাঁর মুখে একটি ঘুষি মারছেন। এরপর ওই ব্যক্তি মিলারি ছাংতের হাত ধরে তাঁকে সিঁড়ি দিয়ে নিয়ে চলে যান।
#viralvideo #Noidawoman #Mizoram #BJP
Oh my God | What happen to #women of #India .
1- In morning #Noidawoman abusing gaurd,2-Now Mizoram CM Zoramthanga’s Daughter ‘Hits’ Doctor, pic.twitter.com/PRncoM3C5r
— Abushahma Khan (@Abushahma007) August 21, 2022
এই ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মিজোরাম শাখা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুক্র ও শনিবার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য চিকিৎসকরা কালো ব্যাজ পরে কাজ করেছেন। চাপের মুখে অবশেষে শনিবার, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্কা তাঁর সরকারি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলের মাধ্যমে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন। হাতে লেখা একটি চিঠি তিনি পোস্ট করেছেন।
চিঠিটির নীচে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর স্বাক্ষর রয়েছে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী বলেছেন, আইজলের ওই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তাঁদের মেয়ের ‘দুর্ব্যবহারের’ জন্য ওই চিকিৎসক এবং জনসাধারণের কাছে তাঁরা ‘ক্ষমাপ্রার্থী’। কোনওভাবেই এই আচরণকে তাঁরা ন্যায্যতা দিচ্ছেন না বা তার কোনও ব্যাখ্যাও দিতে চান না। তবে এই চিঠি ক্ষোভ কতটা প্রশমিত করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।