MK Stalin: ‘প্রধানমন্ত্রী কি জানেন না, নাকি জেনেও…’, ছেলে উদয়নিধির পাশে স্ট্যালিন

MK Stalin on son's Sanatana Dharma remark: প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশের সমালোচনা করে এম কে স্টালিন জানিয়েছেন, উদয়নিধি কী বলেছেন তা না জেনে মন্তব্য করা উচিত হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। গত শনিবার, সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায়, সনাতন ধর্মকে বিলুপ্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন উদয়নিধি স্ট্যালিন।

MK Stalin: প্রধানমন্ত্রী কি জানেন না, নাকি জেনেও..., ছেলে উদয়নিধির পাশে স্ট্যালিন
ছেলেকে পূর্ণ সমর্থন, প্রদানমন্ত্রীর সমালোচনা ডিএসকে প্রধানের মুখেImage Credit source: AFP

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Sep 07, 2023 | 4:44 PM

চেন্নাই: অবশেষে প্রায় এক সপ্তাহ পর, ‘সনাতন ধর্ম’ নিয়ে পুত্র উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে মুখ খুললেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এনকে স্ট্যালিন। প্রত্যাশা মতোই, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ছেলের হয়েই ব্যাট করলেন তিনি। বুধবারই, এই বিতর্কিত মন্তব্যের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন, প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশের সমালোচনা করে এম কে স্টালিন জানিয়েছেন, উদয়নিধি কী বলেছেন তা না জেনে মন্তব্য করা উচিত হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত গত শনিবার, সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায়, সনাতন ধর্মকে বিলুপ্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন উদয়নিধি স্ট্যালিন। সেই মন্তব্য নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

উদয়নিধির মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপি ‘মিথ্যা আখ্যান’ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সনাতন ধর্মের নিপীড়নমূলক নীতিগুলির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন উদয়নিধি। তা সহ্য করতে না পেরেই বিজেপির পক্ষ থেকে মিথ্যা আখ্যান ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, উধয়নিধি সনাতন চিন্তাধারার মানুষদের গণহত্যার ডাক দিয়েছেন। স্ট্যালিন বলেন, “বিজেপিপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে এই মিথ্ আখ্যান ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তামিল বা ইংরেজিতে উদয়নিধি কখনও ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। তবুও, এমন মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে।”


উদয়নিধির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, তাঁর মাথা কেটে নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক সাধু। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায়, উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিন্দা করেছেন স্ট্যালিন। তার বদলে যোগী সরকার উদয়নিধির বিরুদ্ধেই মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তিনি জানতে পেরেছেন, মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে উদয়নিধির মন্তব্যের যথাযথ প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন ডিএমকে প্রধান। তিনি বলেছেন, “যে কোনও দাবি বা প্রতিবেদন যাচাই করার জন্য সমস্ত সংস্থান রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। উদয়নিধি সম্পর্কে যে মিথ্যা আখ্যান ছড়ানো হচ্ছে, তা না জেনেই কি এই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? নাকি জেনেশুনেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন?”

ছেলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে, তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান। তিনি বলেছেন, “আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে এখনও অনেকেই মহিলাদের অবমাননা করে। তারা যুক্তি দেয়, মহিলাদের ধর্মীয় কাজে যুক্ত থাকা উচিত নয়। তারা বলে, বিধবা মহিলাদের ফের বিয়ে করা উচিত নয়। পুনর্বিবাহের কোনও আচার বা আনুষ্ঠানিক মন্ত্রও নেই। সনাতন শব্দটি ব্যবহার করে তারা মহিলাদের উপর অত্যাচারকে চিরস্থায়ী করতে চায়। অথচ মহিলাদের সংখ্যা মানবজাতির অর্ধেকেরও বেশি। উদয়নিধি শুধুমাত্র এই ধরনের নিপীড়নমূলক মতাদর্শের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। সেই মতাদর্শগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি আতার-অনুষ্ঠানগুলি নির্মূল করার ডাক দিয়েছিলেন।”