নয়া দিল্লি: ২০১৪ সালে দিল্লির মসনদে বসার পর থেকেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্নপূরণে জোরকদমে মাঠে নামে মোদী সরকার (Modi Government)। শহর, শহরতলি বাদেও গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে নেওয়া হয় নানা জনমুখী প্রকল্প। বর্তমানে ৪জির পাশাপাশি ৫জি টেকনোলজির উন্নতিতেও বর্তমানে নতুন করে জোর দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে গোটা বিশ্বের সামগ্রিক রিয়েল ডিজিটাল লেনদেনের ৪০ শতাংশই হয় ভারতে। অন্যদিকে অন্তর্জালের শাখাপ্রশাখা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসা-বাণিজ্যেরও হয়েছে ডিজিটালকরণ। গোটা দেশেই জাঁকিয়ে বসেছে ই-কমার্স ব্যবসা। বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরকারি ভাবেও লঞ্চ করা হয়েছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে যার সুফল পাচ্ছে গোটা দেশ। মোদী সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়ে এ ক্ষেত্রেই দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দুনিয়ায় নতুন রাস্তা খুলে দিয়েছে গভর্নমেন্ট ই-মার্কেটপ্লেট বা জিইএম পোর্টাল।
এদিকে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নতির জন্য ব্রিটিশ শাসিত ভারতেও নানা বিভাগ খোলা হয়েছিল। তার মধ্যে অবশ্যই প্রথম সারিতে ছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সাপ্লাইস অ্যান্ড ডিসপোজাল (DGS&D) বিভাগ। ১৮৬০ সালে সরকারের স্টোর বিভাগ হিসাবে প্রথম যাত্রা শুরু ব্যবহার করেছিল এই শাখা। যদিও স্বাধীনতার পরও এর কার্যপ্রণালীতে বিশেষ বদল আসেনি। এদিকে এই বিভাগের হাত ধরে আগামীতে দেশীয় উদ্যোগপতিদের পথ চলা আরও সহজ হওয়ার কথা থাকলেও অফলাইন মোডে কাজের কারণে নানা দুর্নীতির অংশ হয়ে পড়েছিল এই বিভাগ। ক্ষমতায় আসার পরেই দ্রুত সমস্যা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তৈরি হয়ে যায় সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস (GeM) পোর্টাল। বর্তমানে GeM পোর্টালে ৪৩ লক্ষেরও বেশি বিক্রেতা ও নানা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা তাদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই পোর্টালের হাত ধরে ২.৪৬ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেনও হয়েছে। GeM পোর্টালে ৫৫ লক্ষেরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে। ১৩ হাজারের বেশি স্টার্টআপ সংস্থা এই পোর্টালের হাত ধরে তাদের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছে। শুধুমাত্র এই সংস্থাগুলি দেশব্যাপী সাড়ে ৬ হাজার কোটির ব্যবসা করেছে। গোটা প্রক্রিয়াই চলে অনলাইনে। আর সেই কারণেই লেনদেনের ক্ষেত্রে আনা গিয়েছে আগের থেকে আরও অনেক বেশি স্বচ্ছতা। যা দ্বারা উপকৃত হয়ে চলেছেন দেশে ছোট, বড় লক্ষ লক্ষ উদ্যোগপতিরা। যার ফলে আজ মোদী সরকারের হাত ধরে চলা এই পোর্টাল টক্কর দিচ্ছে যে কোনও বড় ই-কমার্স সংস্থাকেও। কোনও বেসরকারি মধ্যস্বত্বভোগীর ছোঁয়াচ এড়িয়েই সরাসরি নিজেদের তৈরি পণ্য মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে পারছেন ছোট-মাঝারি উদ্যোগপতিরা।