
চিকমাগালুর: কফি খেতে ভালবাসে না, এমন লোকের সংখ্যা খুব কম আছে। কাজের চাপ কমানো থেকে ঘুম কাটাতে এবং মানসিক ক্লান্তি ঘোচাতে কফির জুরি নেই। অনেকে আবার বিভিন্ন ধরনের কফির স্বাদ নিতে বিভিন্ন ক্যাফেতে যান। এটাই অনেকের শখ। এবার জনপ্রিয় কফি ব্র্যান্ড নেশক্যাফে, ব্রু-র পাশাপাশি স্বাদে বদল আনতে পারে ‘মাঙ্কি স্পিট কফি’।
মাঙ্কি স্পিট কফি নাম শুনেই হয়তো অনেকে ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন। তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। একেবারে ঠিকই ভাবছেন। বাঁদরের থুতু দিয়ে এই কফি তৈরি। আর এই কফি পাওয়া যাচ্ছে ভারতেই। বর্তমানে অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে মাঙ্কি স্পিট কফি। ঠিক কীভাবে এই কফি তৈরি হচ্ছে, আসুন জেনে নিই।
মূলত,তাইওয়ানে চাষ হত মাঙ্কি স্পিট কফি। বর্তমানে ভারতের কর্নাটকের চিকমাগালুর শহরে এই ধরনের কফির বীজের হদিশ মিলেছে। মূলত, চিকমাগালুরের জঙ্গল-সংলগ্ন এলাকাতেই মাঙ্কি স্পিট কফির হদিশ মিলেছে। আসলে, কর্নাটকের চিকমাগালুর এলাকায় কফি চাষ হয়। আর সম্প্রতি এই এলাকার জঙ্গলের বাঁদরেরা বাগানে চাষ হওয়া ভাল প্রজাতির কফির বীজ তুলে সেগুলি চিবিয়ে আবার মাটিতে ফেলে দেয়। বাগানের কর্মীরা সেই বাঁদরের চেবানো বীজ তুলে ভাল করে ধুয়ে, প্রক্রিয়া করে কফি বানায়। তারপর এই কফি গরম জলে মেশালে স্বাদ একেবারে অন্যরকম। বাঁদরের চেবানো কফি বীজ প্রক্রিয়া করে এটা তৈরি হচ্ছে বলে এর নাম মাঙ্কি স্পিট কফি।
মাঙ্কি স্পিট কফি বীজের রং হয় ধূসর। বর্তমানে এটা যেমন অনেক ক্যাফেতে পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই প্যাকেটজাত চিকমাগালুরে মাঙ্কি স্পিট কফি অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে। স্বাদে বিশেষত্ব থাকায় দামও আকাশছোঁয়া। ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে এটি।
বাঁদরের থুতুর পাশাপাশি বর্তমানে পশুর মল থেকেও কফি তৈরি হচ্ছে। আর সেটাই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি, যার নাম ‘কোপি লুয়াক’। বিড়ালের মতো দেখতে এশিয়ান পাম সিভেট নামক এক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মল থেকে এই কফি তৈরি হয়। মূলত ইন্দোনেশিয়ায় এই প্রাণীটি দেখা যায়। এই প্রাণীটি এই কফি দানা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। তারপর কফি দানা তাদের শরীরে যাওয়ার পর প্রোটিনের গঠন বদলে যায় এবং এই পশুর মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। সেই মল থেকে বাছাই করে প্রক্রিয়াজাত কফি হল ‘কোপি লুয়াক’।