নয়া দিল্লি: বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ফৌজদারি মানহানি মামলায় (Criminal Defamation Case) সুরাট আদালতের তরফে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আর শাস্তির ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তাঁর লোকসভার সদস্য়পদও খারিজ করে দেওয়া হয়। ফৌজদারি মামলায় শাস্তি পাওয়ার কারণে আগামী আট বছর নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী। তবে এতকিছুর পরও রাহুলের বিপদ শেষ হওয়ার নাম নেই। কারণ তাঁর নামে আরও তিনটি মানহানির মামলা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) দায়ের হওয়া এই মামলাগুলির মধ্যে আবার একটি মামলা “মোদী পদবি” (Modi Surname Controversy) নিয়ে বিতর্কিত নিয়েই।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নামে এখনও তিনটি মানহানির মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি চাইবাসায় ও দুটি মামলা রাঁচীতে দায়ের হয়। সবকটি মামলারই শুনানি হওয়া বাকি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলি-
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন “সমস্ত চোরেদের পদবি মোদী হয় কেন? তা সে নীরব মোদীই হোক বা ললিত মোদী কিংবা নরেন্দ্র মোদী”। ওই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই প্রদীপ মোদী নামক একজন আইনজীবী রাঁচীতে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে “খুনি” বলা নিয়ে। ২০১৮ সালে জবলপুরে রাহুল গান্ধী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়েই রাঁচীতে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। নবীন ঝা নামক এক ব্যক্তি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
চাইবাসাতেও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা নিয়ে। বিজেপি নেতা প্রতাপ কাটিয়ার এই মামলা করেছিলেন। তবে গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডের হাইকোর্টের তরফে রাহুল গান্ধীকে মানহানি মামলায় আপাতত স্বস্তি দেওয়া হয়। আগামী এপ্রিল মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।