
নয়াদিল্লি: ছেলে-বৌমা ও নাতি কাশ্মীর যাচ্ছে খুব খুশি হয়েছিলেন মঞ্জুনাথ রাওয়ের মা। মঞ্জুনাথ ছিলেন কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়ল একের পর এক পর্যটক। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুনাথও। সন্ত্রাস নাশকতায় প্রাণ হারান তিনি। সন্তান হারায় তাঁর মা। বাবাকে হারায় ছেলে। স্বামীকে হারায় স্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসীদের এই দর্প তিনি চূর্ণ করেই ছাড়বেন। দিয়ে দিয়েছিলেন আল্টিমেটাম। গত সপ্তাহ দু’য়েক ধরে নয়াদিল্লি হইচই পড়ে গিয়েছে। দফায় দফায় বৈঠক, আলোচনা। সব কিছুই চলছে রুদ্ধদ্বার। কী কথা হচ্ছে, কী কথা হচ্ছে না। কোনও কিছু প্রকাশ্যে আসছিল না। তবে একটা অনুমান দিন দিন দৃঢ় হয়ে চলছিল, তা হল পাকিস্তানের সঙ্গে কিছু একটা ঘটতে চলছে।
বুধবার যখন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ল ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ খবর। তা কিন্তু পৌঁছেছিল নিহত মঞ্জুনাথের মায়ের কান পর্যন্ত। এদিন তিনি সংবাদসংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর নামটা একেবারে সার্থক’। তাঁর সংযোজন, ‘আমরা আশাবাদী ছিলাম যে প্রধানমন্ত্রী একটা কোনও পদক্ষেপ নেবেন। তেমনটাই হল। এই অভিযানের নামকে সার্থক করেছেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, এদিনের প্রত্যাঘাত প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে দেশের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনার পরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ রুখতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি, ভারতের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও হামলা হতে পারত। তাই তার আগেই এই প্রত্যাঘাত আবশ্যক ছিল।’