AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi blast case: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক TATP ব্যবহার হয়েছিল দিল্লিতে বিস্ফোরণে? কী এই ‘মাদার অব স্যাটান’?

'Mother of Satan' explosive: অত্যন্ত 'অশান্ত' প্রকৃতির এই বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ পছন্দের। উমর সম্ভবত এই TATP-র বিষয়ে জানতেন না বলে অনুমান NIA-র। গাড়িতে TATP ঠাসা অবস্থায় তাঁকে লালকেল্লার কাছে পৌঁছতে বলে মডিউলের মাথারা। অস্থির প্রকৃতির বিস্ফোরক হওয়ায় সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১৫ সালে প্যারিস, ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার এবং ২০১৬ সালে ব্রাসেলস বিস্ফোরণে TATP ব্যবহৃত হয়েছিল। 

Delhi blast case: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক TATP ব্যবহার হয়েছিল দিল্লিতে বিস্ফোরণে? কী এই 'মাদার অব স্যাটান'?
কী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরাImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2025 | 8:37 AM
Share

নয়াদিল্লি: তীব্র শব্দ। ৫০ মিটার দূরত্বে ছিটকে পড়েছিল দেহাংশ। দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণে কী ব্যবহার করা হয়েছিল? এই নিয়ে বিস্ফোরণের পর থেকে নানা প্রশ্ন উঠছে। এবার গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন, দিল্লিতে i20 গাড়িতে বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রাই অ্যাসিটোন ট্রাই পারঅক্সাইড (TATP)। এই বিস্ফোরকের কোড নাম আবার ‘মাদার অব স্যাটান’। শয়তানের মা। কী এই ‘মাদার অব স্যাটান’? কতটা ভয়ঙ্কর এই বিস্ফোরক?

গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০ জনের বেশি জখম হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। ইতিমধ্যে তদন্তে জানা গিয়েছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ডাক্তার উমর নবি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ির পিছনের আসনে একটি বড় ব্যাগ রয়েছে। সেই ব্যাগে বিস্ফোরক ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই বিস্ফোরকের মধ্যে কি ছিল TATP? গোয়েন্দাদের সন্দেহ তেমনই। গাড়িতে ২-৩ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ‘মাদার অব স্যাটান’ ছিল বলে তাঁরা মনে করছেন।

কতটা বিস্ফোরক TATP?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মাদার অব স্যাটান’ অত্যন্ত উচ্চমাত্রার এবং সংবেদনশীল বিস্ফোরক। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখন জঙ্গিরা বোমা তৈরিতে এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে। বিস্ফোরণের জন্য কোনও ডিটোনেটরের প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ঝাঁকুনি কিংবা সূর্যের উত্তাপেই ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। TATP দিয়ে শক্তিশালী আইইডি বানানো যেতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় নমুনা TATP কি না, জানার চেষ্টা করছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।

অত্যন্ত ‘অশান্ত’ প্রকৃতির এই বিস্ফোরক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিশেষ পছন্দের। উমর সম্ভবত এই TATP-র বিষয়ে জানতেন না বলে অনুমান NIA-র। গাড়িতে TATP ঠাসা অবস্থায় তাঁকে লালকেল্লার কাছে পৌঁছতে বলে মডিউলের মাথারা। অস্থির প্রকৃতির বিস্ফোরক হওয়ায় সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১৫ সালে প্যারিস, ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার এবং ২০১৬ সালে ব্রাসেলস বিস্ফোরণে TATP ব্যবহৃত হয়েছিল। দিল্লির বিস্ফোরণে যেভাবে কেঁপে উঠেছিল এলাকা, সেটা দেখেই NIA-র অনুমান, এই বিস্ফোরণে ‘মাদার অব স্যাটান’ ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত জটিল এই বিস্ফোরক কোথা থেকে হাতে পেলেন উমর, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। লালকেল্লার কাছে পৌঁছানোর আগে বহুক্ষণ গাড়ি নিয়ে ঘুরছিলেন উমর। তখন কেন এই বিস্ফোরক ফাটল না, তারও উত্তর খোঁজার চেষ্টায় NIA-র তদন্তকারীরা।