Dancer: নর্তকী গুড়িয়ার প্রেমে পড়ে প্রাণ খোয়ালেন ব্যবসায়ী!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Nov 17, 2022 | 9:45 AM

Businessman: বিনীতের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় গুড়িয়ার। এই সুযোগে বিনীতের থেকে টাকা মোটা টাকা নিতেন। মাসের সব খরচ আদায় করতেন বিনীতের থেকে।

Dancer: নর্তকী গুড়িয়ার প্রেমে পড়ে প্রাণ খোয়ালেন ব্যবসায়ী!

Follow Us

ভোপাল: বছর দেড়েক আগের ঘটনা। এক সংস্থার অর্কেস্টা পার্টির আয়োজন করেছিল। সেই পার্টিতে গিয়েছিলেন মধ্য প্রদেশের খান্ডোয়ার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী। সেই পার্টি মাতিয়েছিলেন এক নতর্কী। তাঁর লাস্যময়ী নাচ মন টেনেছিল সেখানে উপস্থিত অতিথিদের। সেদিনের পরই ওই নতর্কীর প্রেমে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। অনুষ্ঠানের পর ফোন নম্বরও নিয়েছিলেন। এর পর শুরু হয় কথাবার্তা। তার পর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান দুজনে। শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল দুজনের মধ্যে। ঘনিষ্ঠতার সুযোগে ওই ব্যবসায়ীর বিপুল সম্পত্তির নজরে আসে ওই নতর্কীর। সম্পত্তির লোভে পড়ে যান তিনি। এর পর ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় শুরু করেন। কিন্তু যত দিন যাচ্ছিল সেই টাকা আদায়ের পরিমাণও বাড়ছিল। এর পরই বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত হন ওই ব্যবসায়ী। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্ল্যাকমেলিং শুরু করেন ওই মহিলা। সেই টানাপোড়েনের জেরেই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যবসায়ী। এর পর ওই নতর্কীস তাঁর বোনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর মা পলাতক।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম বিনীত আগরওয়াল। ওই নর্তকীর গুড়িয়া নামেই পরিচিত। তাঁর আসল নাম খুশনুমা পাঠান। বেশ কয়েক বছর আগে গুড়িয়ার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। রাহুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের পাঁচ বছরে একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু রাহুল গুড়িয়ার দাবি পূরণে ব্যর্থ ছিলেন। সে জন্য গুড়িয়ার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় রাহুলের। এরপর নাচের দলে যোগ দেন তিনি। এবং বিভিন্ন পার্টিতে নাচ করতেন। এ রকমই একটি পার্টিতে বিনীতের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।

এরপর বিনীতের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় গুড়িয়ার। এই সুযোগে বিনীতের থেকে টাকা মোটা টাকা নিতেন। মাসের সব খরচ আদায় করতেন বিনীতের থেকে। বিনীতের থেকে টাকা নিয়ে বাড়িও বানান গুড়িয়া। তিনি একা নন, গুড়িয়ার মা ও বোন যোগ দেন তাঁর সঙ্গে। জানা গিয়েছে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা বিনীতের থেকে নিতেন ওই ব্যবসায়ী। সম্প্রতি গুড়িয়ার টাকার চাহিদা বাড়তে থাকে। তখন তা দিতে অস্বীকার করেন বিনীত।

দাবি মতো টাকা না পেয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন গুড়িয়া। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি আসে। ব্যবসায়ী হিসাবে বিনীত ছিলেন প্রতিষ্ঠিত। ফলে আত্মসম্মানের ভয় গ্রাস করতে থাকে তাঁর মধ্যে। এ দিকে গুড়িয়া ও তাঁর বোন, মায়ের সাঁড়াশি চাপে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। তার যেরেই আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Next Article