Meghalaya: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে শিলং, সাংমাকে অমিত শাহ দিলেন ‘সিবিআই’ আশ্বাস

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 24, 2022 | 11:36 PM

Meghalaya-Assam border firing: মঙ্গলবার ভোরে মেঘালয়-অসম সীমান্তে গুলিচালনার ঘটনার জেরে এখনও চরম উত্তেজনা শিলং-এ। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিলেন সিবিআই তদন্তের আশ্বাস।

Meghalaya: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে শিলং, সাংমাকে অমিত শাহ দিলেন সিবিআই আশ্বাস
সীমান্তে এখনও গনগনে উত্তেজনা

Follow Us

শিলং: গত মঙ্গলবার ভোরে অসম-মেঘালয় সীমান্তে গুলি চলেছিল। বনরক্ষী বাহিনীর এক সদস্য-সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও সেই ঘটনার উত্তেজনা কমেনি। এদিন মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি একটি ট্রাফিক পুলিশের বুথে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি বাসেও হামলা হয়। এদিকে, এইদিনই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, সীমান্তে “অসম পুলিশের গুলিবর্ষণের” বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। সেই দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, অমিত শাহর কাছে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার দাবি করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া, দুই রাজ্যের মধ্যে আলোচনা এবং বিশ্বাস আরও মজবুত করতে এবং অসমের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন তিনি। কনরাড সাংমা বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি আজই সীমান্তে গুলি চালানোর তদন্তের বিষয়ে আমাদের অনুরোধ মতো পদক্ষেপ করবেন। দোষীরা শাস্তি পাবে তবে এই মুহুর্তে আমাদের শান্তি বজায় রাখা উচিত।”

তিনি দাবি করেন, মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহ গ্রামে অসম পুলিশের সদস্যরা কিছু “নিরীহ ব্যক্তিদের” উপর গুলি চালিয়েছিল। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়েছে” এবং “ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার” করেছে অসম পুলিশ। যদিও অসম পুলিশের দাবি, বন কর্মীরা অবৈধভাবে কাটা কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক আটক করার পরই এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল। তাদের উপর গ্রামবাসীরা হামলা চালায় বলেও অভিযোগ করেছে তারা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অসম পুলিশের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন। কমরাড সাংমার মতো তিনিও অবশ্য সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন।

এদিকে, অসম-মেঘালয় সীমান্তের যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই মুকরোহ গ্রামে এখনও উত্তেজনা রয়েছে, তবে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। মুকরোহ গ্রাম এবং আশাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী। পুরো এলাকা থমথম করছে। শিলং-এর ছবিটা অবশ্য আলাদা। ট্রাফিক পুলিশ বুথে অগ্নিসংযোগ এবং শিলং সিভিল হাসপাতালের কাছে একটি বাসেও হামলা হয়। বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ক্ষুব্ধ জনতা। ছোড়া হয় পাথর। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে।

Next Article