নয়া দিল্লি: সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা উত্তর প্রদেশের তিনবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব। ২২ অগস্ট থেকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই মুলায়ম। প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি মুলায়মের ব্যক্তি জীবনও ছিল বর্ণময়। ২০০৩ সালের দ্বিতীয় বিয়ে করেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ওই বছরই অখিলেশ যাদবের মা মারা গিয়েছিলেন। তারপরই সাধনাকে স্ত্রীয়ের মর্যাদা দেন মুলায়ম। সাধনা গুপ্তকে বিয়ে করেছিলেন সপা প্রধান। মুলায়মকে বিয়ে করার আগে সাধনারও একবার বিয়ে হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে ফারুখাবাদের চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তের সঙ্গে সাধনার বিয়ে হয়েছিল। ১৯৯০ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল।
চন্দ্র প্রকাশের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মুলায়মের সঙ্গে সাধনা গুপ্তের পরিচয় হয়েছিল। আত্মজীবনী ‘বদলাব কী লেহের’ বইতে অখিলেশ যাদব মুলায়ম ও সাধনার সম্পর্কের কথা লিখেছিলেন। সেখানে অখিলেশ লিখেছিলেন, মুলায়মের মা মূর্তি দেবীর অসুস্থতার সময় সাধনা তাঁকে দেখভাল করেছিলেন। মায়ের প্রতি সাধনার যত্ন দেখে তাঁর মুলায়মের তাঁর প্রতি অনুভূতি বাড়তে থাকে। বয়সে সাধনা মুলায়মের থেকে ২০ বছরের ছোট। কিন্তু তারপরও মুলায়ম-সাধনার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। ২০০৭ সালে মুলায়মের নির্বাচনী হলফনামা থেকে সরকারিভাবে প্রথমবার সাধনার কথা প্রকাশ্যে আসে। মুলায়ম-সাধনার পুত্র প্রতীক যাদব।
চলতি বছর ৯ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুলায়ম সিং যাদবের দ্বিতীয় স্ত্রী সাধনা গুপ্ত। দীর্ঘ অসুস্থতার পর মেদান্ত হাসপাতালেই মারা গিয়েছিলেন সাধনা। সমাজবাদী পার্টির অফিসিয়াল টুইটার থেকে সাধনার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। সমাজবাদী পার্টির একটি সূত্রে দাবি, সাধনার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মুলায়ম। গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন