
নয়া দিল্লি: পাকা চুল, মাঝে পড়েছে টাক। গাল ভর্তি লম্বা পাকা দাড়ি। বাদামী রঙের ওভারঅলে দেখা মিলল তাহাউর রানার। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী ছিল এই তাহাউরই। দীর্ঘ সময় ধরে আমেরিকার জেলে বন্দি থাকার পর অবশেষে ভারতে প্রত্যর্পণ সম্ভব হল। আর দিল্লিতে পা রাখতেই তাঁকে হেফাজতে নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। প্রকাশ্যে আনা হলেও, তাঁর মুখ প্রকাশ করা হল না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লিতে পা রাখা মাত্রই তাহাউরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সন্ধেতেই বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। আপাতত ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতেই পাঠানো হয়েছে মুম্বই হামলার প্রধান চক্রীকে। সূত্রের খবর, আপাতত তিহাড় জেলের স্পেশাল সেলে রাখা হবে তাহাউরকে। তদন্তের স্বার্থে পরে তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
২০০৮ থেকে ২০২৫। ১৭ বছর পর তাহাউর শাস্তি পেতে পারে মুম্বই হামলার চক্রান্ত করার জন্য, যা নিরাপরাধ ১৬৬ জনের প্রাণ কেড়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন পেশ করা হয় তাহাউরকে, তখন তদন্তকারী সংস্থা একাধিক জোরাল তথ্য প্রমাণ জমা দেয়, যাতে স্পষ্ট মুম্বই হামলায় সরাসরি যোগ ছিল তাহাউরের।
জানা গিয়েছে, তাহাউরের পাঠানো একাধিক ইমেইল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, কীভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, তা জানার জন্য তাহাউরকে জেরা করা জরুরি। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, খুন, প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও তাহাউরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তাহাউরের প্রত্যর্পণে একদিকে যেখানে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছে তাঁর সফল কূটনীতির জন্য, অন্যদিকে কংগ্রেসের দাবি, ইউপিএ জমানাতেই তাহাউরকে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তাই এনডিএ-র কৃতিত্ব নেওয়া উচিত নয়। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই তাহাউরের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যেতে পারে।