এক ঘরেই  গান্ধী, নেহরু, অম্বেদকর! খোঁজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত মুম্বইয়ের যুবক

এ যেন গুপ্তধন খুঁজে পাওয়া। ডিজিটাল যুগের আগে ‘অটোগ্রাফ’, ‘স্ট্যাম্প’ সংগ্রহের মতো ছোট ছোট বিষয়েই আনন্দ খুঁজে পেতেন আশি-নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা মানুষ। আর এখন সেই টুকরো আনন্দই এক একটি আস্ত ‘অ্যাসেট’।

এক ঘরেই  গান্ধী, নেহরু, অম্বেদকর! খোঁজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত মুম্বইয়ের যুবক
এক ঘরে চার মহারথী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 10, 2020 | 11:07 AM

মুম্বই:  এক ঘরেই মহাত্মা গান্ধী(Mahatma Gandhi), জহরলাল নেহরু(Jawaharlal Nehru), বি আর অম্বেদকর(B R Ambedkar)!নিজের মায়ের  ঘর গোছাতে গিয়ে এমনই ‘অমূল্য রতন’ খুঁজে পেলেন মুম্বই(Mumbai) নিবাসী বিজয় বালসুর। নিজের ঠাকুর্দার ৩০ বছরের পুরনো এক জরাজীর্ণ নোটবুকে গুচ্ছ গুচ্ছ সই। অটোগ্রাফ(Autograph)। কে নেই সেই তালিকায়! মহাত্মা গান্ধী(Mahatma Gandhi) থেকে জহরলাল নেহরু(Jawaharlal Nehru)। বি আর অম্বেদকর(B R Ambedkar)  থেকে সি ভি রমন(C V Raman)। এ যেন গুপ্তধন খুঁজে পাওয়া। ডিজিটাল যুগের আগে ‘অটোগ্রাফ’(Autograph), ‘স্ট্যাম্প’ সংগ্রহের মতো ছোট ছোট বিষয়েই আনন্দ খুঁজে পেতেন আশি-নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা মানুষ। আর এখন সেই টুকরো আনন্দই এক একটি আস্ত ‘অ্যাসেট’।

আরও পড়ুন :  ‘আমরা গণতন্ত্র নিয়ে গর্বিত’, নীতি আয়োগ-কর্তাকে পাল্টা কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, বিজয় বালসুরের অটোগ্রাফ খাতার সইগুলিতে নজরে পড়ার মতো তারিখগুলি। মহাত্মার(Mahatma Gandhi) দেওয়া সইটির তারিখ ২৫/০২/৩৮। ঠিক তার একবছর আগে ১৯৩৭-এ ফেব্রুয়ারির ১০-এ  কর্ণাটকের মুদাবিদরিতে একদিনের জন্য এসেছিলেন জহরলাল নেহরু(Jawaharlal Nehru)। জহর-এর দস্তখতের তলায় যাওয়া-আসার সমস্ত তথ্য নিজেই নথিভুক্ত করেছেন সংগ্রাহক। ইতিহাসের পাতায় তখনও দেশ পরাধীন। চলছে ‘অহিংস আন্দোলন’। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’ও। অন্যদিকে, ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের দস্তখতটি দেশ স্বাধীনের এক বছর পরেই। ১৯৪৮-এর ১৭ জানুয়ারি। সময়কাল থেকেই স্পষ্ট  বিজয় বালসুরের ঠাকুর্দা কেবল সই সংগ্রাহক ছিলেন এমন নয়, অনুগামীও ছিলেন। সইয়ের সঙ্গে নিজের হস্তাক্ষরে স্থান-কালের নির্দেশ নয়তো রাখতেন না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজয় এই ছবি শেয়ার করতেই নেটিজেনদের চর্চায় ‘অটোগ্রাফ খাতা’। সকলেই একবাক্যে বলছেন এ উপহার দুর্মূল্য।

আরও পড়ুন :  করোনার থাবা, এ বছর স্থগিত যাদবপুরের সমাবর্তন