হিন্দু নামে পরিচয় লুকনোর চেষ্টা! মুসলিম ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে বেধড়ক মার
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। ওই ব্যক্তির দুটো আধার কার্ড ছিলবলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ইন্দোর: এক চুড়ি বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধর করা হল জনবহুল বাজারের মধ্যে। রাস্তার মাঝে টেনে এনে জামা টেনে মারধর করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, একজন মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। আর তা জানতে পেরেই তার ওপর চড়াও হয় একদল যুবক। শুধু মারধর নয় ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকেরা। এই ঘটনায় অবশ্য কোনও ধর্মীয় হানাহানির ছায়া দেখছেন না মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তাঁর দাবি একজন মানুষ যদি তাঁর নাম, ধর্ম বা জাত লুকোয় তাহলে তিক্ততা তৈরি হয়।
ইন্দোরের এই ঘটনার পর মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই ব্যবসায়ী শুধু হিন্দু নাম ব্যবহার করছিলেন তাই নয়, তাঁর কাছে ছিল দুটি আলাদা আধার কার্ড। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে তাঁর আসল নাম তসলিম, কিন্তু অন্য নামেই তিনি সাধারণত পরিচয় দিতেন। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে চারপাশে বহু লোক উপস্থিত থাকলেও ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন না কেউ। মার খেতে খেতে ওই ব্যক্তি বারবার সাহায্যের জন্য চীৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। ওই ব্যক্তিকে যাতে এলাকায় আর দেখা না যায় সে কথাই বারবার বলতে শোনা যাচ্ছে এলাকার মানুষজন কে।
তসলিম নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁকে প্রথমে একজন ব্যক্তি তাঁর নাম জিজ্ঞেস করেন। আসল নাম বলাতেই শুরু হয় মারধর। তারপর তার কাছে থাকা ১০,০০০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ভেঙে দেয় তার পসরায় থাকা চুড়িও। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মারধর হেনস্থা চুরি ও ধর্মীয় সম্প্রীতিকে আঘাত করার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
তবে এই ঘটনা নিয়ে যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট না করা হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছে পুলিশ। এই ধরনের পোস্ট করা হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইন্দোর ইস্ট পুলিশ স্টেশনের আধিকারিক আশুতোষ বাগরি। ইন্দোরের ডিসট্রিক্ট কালেক্টর জানিয়েছেন এই ঘটনার পর কিছু নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা এসে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্যদের এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টার ওপর নজর রাখছে পুলিশ ও প্রশাসন। আরও পড়ুন: কোনও লুকোছাপা নয়, সব দলের নেতাদের আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জানাতে চান নরেন্দ্র মোদী