
আলিগড়: হনুমান মন্দিরে বসে রয়েছেন এক হিন্দু যুবক। তাঁর পরণে পাঞ্জাবি এবং গলায় জড়ানো গেরুয়া উত্তরীয়। ওই যুবককে ঘিরে বসে রয়েছেন বেশ কয়েক জন মুসলিম ধর্মাবলম্বী যুবক। ওই হিন্দু যুবক হনুমান চালিসা পড়ে শোনাচ্ছেন। তা শুনে হনুমান চালিসার মন্ত্র উচ্চারণ করছেন ওই মুসলিম ব্যক্তি। সম্প্রতি এ রকমই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। সম্প্রীতির এই চিত্র দেখে বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন নেটিজেনরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টিও উঠে এসেছে নেটিজেনদের মন্তব্যে।
জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের একটি গ্রামের হনুমান মন্দিরে ঘটেছে এই ঘটনা। আলিগড়ের ইগসলাস থানার অন্তর্গত হস্তপুর গ্রামের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মুসলিম যুবকদের হনুমান চালিসা পড়ানো ওই যুবকের নাম সচিন শর্মা। তিনি সারা ভারত হিন্দু সেনার আলিগড় জেলার সভাপতি। তাঁর পাশে বসেই হনুমান চালিসা পাঠ করেছেন মুসলিম যুবকরা। সনাতন ধর্মের ব্যাপারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্য়ে ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, জোর করে ওই মুসলিম যুবকদের চালিসা পড়ানো হয়েছে কি না। এ ব্যাপারে সচিন জানিয়েছেন, কাউকে চালিসা পড়তে বাধ্য করা হয়নি। সকলেই নিজের ইচ্ছাতেই চালিসা পাঠ করেছে।
अलीगढ़ के हनुमान मंदिर में मुस्लिम बच्चों को हनुमान चालीसा पढ़ाते हुए वीडियो वायरल।#viralvideo #hanumanchalisa pic.twitter.com/rFNamra117
— Gaurav Pandit (@igauravpandit) October 16, 2022
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের হনুমান চালিসা পাঠে দোষের কিছু দেখছেন না আলিগড় মুসলিম কলেজের অধ্যাপক মুফতি জাহিদ আলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, হনুমান চালিসা পড়াতে কোনও সমস্যা নেই। নিজের ইচ্ছায় কেউ তা পাঠ করতেই পারে। এ নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।