AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ভারতের আইন আপনারা মানতে বাধ্য’, ৯৫ মিনিট ধরে জবাবদিহি টুইটার আধিকারিকদের

শশী থারুরের (Sashi Tharoor) নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে সংসদীয় কমিটি। আজ সেখানেই একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অফিসারদের।

'ভারতের আইন আপনারা মানতে বাধ্য', ৯৫ মিনিট ধরে জবাবদিহি টুইটার আধিকারিকদের
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Jun 18, 2021 | 7:25 PM
Share

নয়া দিল্লি: গত কয়েকদিনধরে টুইট ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। কেন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে এই সংস্থাকে। আজ, শুক্রবার কেন্দ্রের সসদীয় কমিটির সামনে হাজিরা দিলেন সংস্থার দুই আধিকারিক। শশী থারুরের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে তাঁদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, এ দিন ওই কমিটি সংস্থার আধিকারিকদের সাফ জানিয়েছে, ‘ভারতের আইনই শেষ কথা আর সংস্থা সেটা মানতে বাধ্য।’ দল নির্বিশেষে সাংসদরা রয়েছেন ওই কমিটিতে। এ দিন প্রায় ৯৫ মিনিট ধরে জবাবদিহি করতে হয়েছে টুইটারের আধিকারিকদের। একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেওয়া হয় তাঁদের দিকে। এখনও কেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থায়ী অফিসার নিয়োগ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্কিত কনটেন্ট নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁদের।

আধিকারিকরা স্বীকার করেছেন যে যে সব টুইটকে তাঁরা পরিচ্ছন্ন বলে মনে করেন সেগুলিকেই প্রোমোট করেন বা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন, আর যে সব টুইটে সমস্যা থাকে, সেগুলিকে আটকে দেন।

জানা গিয়েছে, কেবল টুইটারই নয়, ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকেও সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ ও সোশ্যাল মাধ্যমের অপব্যবহার সম্পর্কে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। গত ১৮ জুন নোটিস পাঠিয়ে টুইটারের প্রতিনিধিদের মতামত জানতে চাওয়া হয় এবং নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা ও সোশ্যাল মাধ্যমের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রমাণও সামনে আনতে বলা হয়। এই সোশ্যাল মাধ্যমগুলিতে মেয়েরা কতটা সুরক্ষিত সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ‘যুবকর্মীদের কথা শোনে না শীর্ষ নেতৃত্ব’, রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়লেন ৪ বারের বিধায়ক 

চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রের নয়া তথ্য় প্রযুক্তি আইন অনুসরণ না করায় আইনি সুরক্ষা হারিয়েছে টুইটার। গাজিয়াবাদে এক বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনাতেও ভাইরাল ভিডিয়োটিকে বিকৃত হিসাবে চিহ্নিত না করায় উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে টুইটারের ভারতীয় অধিকর্তা মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেসের টুলকিট কাণ্ড নিয়ে লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে  টুইটারকে।