
নয়াদিল্লি: বাড়ল ন্য়ূনতম কাজের দিন, বাড়ল রোজগারও। আবার বদলে গেল নাম। মনরেগা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে মনরেগার নাম বদলে রাখা হল ‘পুজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি’। পাশাপাশি, আগে যেখানে ন্যূনতম কাজের দিন ছিল ১০০। তা বাড়িয়ে এবার করা হল ১২৫। অর্থাৎ এবার থেকে বছরে এই যোজনার আওতায় কমপক্ষে ১২৫ দিনের কাজ দেওয়া হবে। যার দরুণ দেওয়া হবে ন্যূনতম ২৪০ টাকা প্রতিদিন।
কিন্তু হঠাৎ করেই এই নাম পরিবর্তনের কারণ কী? সাম্প্রতিককালে প্রায় প্রতিটি প্রশাসনিক স্তরে দেখা গিয়েছে নাম বদলের নজির। ঔপনিবেশিকতাকে ‘ছুড়ে ফেলে দিয়ে’ রাজভবন হয়েছে লোকভবন। রাজ্যপাল হয়েছেন লোকপাল। ঠিক তেমনই নয়াদিল্লির বুকে দশক ধরে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী অফিস বা পিএমও-র নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘সেবা তীর্থ’। এছাড়াও রাজপথ হয়েছে কর্তব্যপথ, রেস কোর্স রোড হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ।
এবার সেই একই নজির দেখা গেল মনরেগার ক্ষেত্রেও। নাম বদলে গেল সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের। হয়ে গেল ‘পুজ্য বাপু গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি’। কিন্তু কেন? নেপথ্য়ে কি যোগ রয়েছে বাংলার রাজনীতির? ওয়াকিবহাল মহল কিন্তু তেমনটাই মনে করছে।
মনরেগা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি স্তরেই বাংলার সঙ্গে তৈরি হওয়া বিবাদ নিয়ে ব্যাকফুটে পড়েছে কেন্দ্র। বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া থেকে পুনরায় ১০০ দিনের কাজ চালু করা, কেন্দ্রকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে মনরেগা যেন দিন প্রতিদিন কেন্দ্রের জন্য পরিণত হয়েছে একটা দাগে। একাংশ মনে করছেন, সেই দাগ তুলতেই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত।