বরাদ্দ টিকাটুকু দিন, সর্বদল বৈঠকে আবেদন তৃণমূলের, বড় প্রতিশ্রুতি মোদীর
PM Narendra Modi: কংগ্রেস, আরজেডি, আম আদমি পার্টি ও শিরোমণি অকালি দল অংশ নেয়নি। এ বাদে বেশিরভাগ বিরোধীরা অংশ নিয়েছিল এই বৈঠকে।
নয়া দিল্লি: দেশে করোনা সংক্রমণ এবং টিকাকরণের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মাঝেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, এই দুই ইস্যুতে বিরোধী দলগুলিকে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি অবগত করেন। বৈঠকে অংশ নিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস, আরজেডি, আম আদমি পার্টি ও শিরোমণি অকালি দল অংশ নেয়নি। এ বাদে বেশিরভাগ বিরোধীরা অংশ নিয়েছিল এই বৈঠকে। এই বৈঠকেই পশ্চিমবঙ্গে ভ্যাকসিনের সঙ্কট নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে মোদীকে চিঠি দেয় তৃণমূল।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া একটি চিঠিতে সুদীপ উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জুলাই মাসে মোট ৭৩ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করেছিল। চলতি মাসের ২০ দিন কেটে গেলেও এখনও অর্ধেক পরিমাণ টিকা রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি। ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ২৩ লক্ষ টিকা পেয়েছে রাজ্য। তাই কেন্দ্রের তরফে যে বরাদ্দটুকু রাজ্যের জন্য করা হয়েছে, তা যেন সময় মতো দিয়ে দেওয়া হয়, এমন আবেদনই জানানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের গণ টিকাকরণ নিয়েও বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নমো। তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মধ্যেই দেশের প্রত্যেক মানুষকে কমপক্ষে একটি করে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ় দেওয়া হবে। এমনটাই খবর সূত্রের। অন্যদিকে সরকারি সূত্র মারফৎ জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকে করোনা ও টিকাকরণ নিয়ে বিরোধীদের সবরকম জিজ্ঞাস্যের যথাসম্ভব জবাব দেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অতিমারি রাজনীতি করার বিষয় নয়। গোটা মানব সভ্যতার জন্য এটি উদ্বেগের বিষয়।”
কেন্দ্রের সূত্র জানাচ্ছে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলিকে এ দিন জেলাস্তরে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য দেশের করোনা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি সূত্রে। আরও পড়ুন: একাদশে ভর্তির মাপকাঠি প্রকাশ! নজিরবিহীন ঘোষণা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের