নয়া দিল্লি : একের পর এক রাজ্যে হেরেছে। এত হারের পরও অহঙ্কার যাচ্ছে না কংগ্রেসের (Congress)। লোকসভায় এই ভাষাতেই প্রধান বিরোধী দলকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এ দিন মোদী কটাক্ষ করে বলেন, ‘যে ভাবে আপনারা কথা বলেন, তাতে আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আপনারা বোধ হয় ঠিক করে নিয়েছেন ১০০ বছরে ক্ষমতায় আসবেন না।’ সোমবার বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই বক্তব্যেই কংগ্রেসকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এনডিএ আমলে দেশে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তা বিরোধীরা দেখতে পাচ্ছেন না, কারণ তাঁরা জনতার মধ্যে থাকেন না।
এ দিন কংগ্রেসকে কড়া জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁরা ২০১৪ তেই আটকে আছেন, তার থেকে বেরতেই পারছেন না। তার ফলও পেতে হয়েছে আপনাদের। দেশের মানুষ আপনাদের চিনে গিয়েছে। কেউ আগেই চিনেছে, কেউ দেরিতে চিনেছে, কেউ আগামিদিনে চিনে নেবে।’ কোথায় কত বছর আগে শেষবার কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল, সেই হিসেবও এ দিন লোকসভায় তুলে ধরেন মোদী। তিনি উল্লেখ করেন, নাগাল্যান্ডের মানুষ ১৯৯৮ শেষবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল, প্রায় ২৪ বছর আগে। ওডিশায় শেষ কংগ্রেস জিতেছিল ১৯৯৫ সালে, প্রায় ২৭ বছর আগে।
মোদী আরও বলেন, ‘গোয়ায় ১৯৯৪-তে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল, ২৮ বছরেও আর প্রবেশ করতে পারেনি।’ ত্রিপুরায় ৩৪ বছর আগে ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস শেষবার জিতেছিল বলে উল্লেখ করেন মোদী। এ ছাড়া, ১৯৮৫ সালে উত্তর প্রদেশে, আর পশ্চিমবঙ্গে ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালে কংগ্রেসকে শেষবার মানুষ ভোট দিয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন করেন। তামিলনাড়ুতেও কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ হবে বলে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই এ দিন প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দিয়ে বলেন, ‘আপনারা এগুলো দেখতে পেতেন, যদি আপনারা মানুষের মধ্যে থাকতেন।’ পরে কংগ্রেসের হারের খতিয়ান তুলে ধরে মোদী বলেন, ‘মানুষ যদি একবার ঠিক রাস্তা ধরে ফেলে, তাহলে আর আপনাদের প্রবেশ করতে দেয় না।’ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এত বড় গণতন্ত্রে এত দিন শাসক হিসেবে থাকার পরও বারবার হার। এত হারের পরও আপনাদের অহঙ্কার যায় না! আপনাদের ইকোসিস্টেম সেই অহঙ্কার যেতেও দেয় না। শায়রির মাধ্যমেও এ দিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তিনি। কংগ্রেসের অহঙ্কারের নমুনা বোঝাতে মোদীর শায়রির একটি লাইনে ছিল, ‘ওদের আয়না দেখিও না, ওরা আয়নাকেও ভেঙে দেবে।’ সরকারের অন্ধ বিরোধ গণতন্ত্রের পক্ষে ঠিক নয় বলেও উল্লেখ করেন মোদী।
এবারের বাজেটেও ছোট কৃষকদের কথা উল্লেখ করেছে মোদী সরকার। এ দিন লোকসভার ভাষণে ফের প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ছোট কৃষকদের কথা। তিনি বলেন, ‘ছোট কৃষকদের মজবুত বানাতে হবে। উন্নয়ন প্রয়োজন।’ কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘ছোট কৃষকদের প্রতি যাদের মনে ঘৃণা আছে, যাঁরা ছোট কৃষকদের কষ্ট বুঝতে পারেন না, তাঁদের কৃষকদের নিয়ে রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই।’
এ দিন সংসদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন মোদী। বলেন, ‘গোলামি করার মানসিকতা বদলায়নি এখনও। আর এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।’ তিনি বলেন আরও বলেন, ‘যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, তারা ইতিহাসেই হারিয়ে যায়। কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ‘আপনাদের জন্য ফাইলই সব। আর আমরা লাইফ বদলে দেওয়ার জন্য কাজ করি।’
এ দিন বক্তব্যের মাঝে একাধিকবার জওহরলাল নেহরুর কথা উদ্ধৃত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে মোদী মনে করিয়ে দেন, লালকেল্লা থেকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু বলেছিলেন, কোরিয়ায় কোনও সমস্যা হলেও তার প্রভাব পড়ে ভারতে। এ দেশে মূল্যবৃদ্ধি হয়। আমেরিকায় কিছু হলেও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময় গ্লোবালাইজেশন ছিল না, তা সত্ত্বেও নেহরুকে কেন এমন বলতে হয়েছিল, সেই প্রশ্ন তুলে মোদী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা কতটা প্রবল ছিল যে লালকেল্লা থেকে মানুষকে বার্তা দিতে হয়েছিল।’
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি : একের পর এক রাজ্যে হেরেছে। এত হারের পরও অহঙ্কার যাচ্ছে না কংগ্রেসের (Congress)। লোকসভায় এই ভাষাতেই প্রধান বিরোধী দলকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এ দিন মোদী কটাক্ষ করে বলেন, ‘যে ভাবে আপনারা কথা বলেন, তাতে আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আপনারা বোধ হয় ঠিক করে নিয়েছেন ১০০ বছরে ক্ষমতায় আসবেন না।’ সোমবার বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই বক্তব্যেই কংগ্রেসকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এনডিএ আমলে দেশে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তা বিরোধীরা দেখতে পাচ্ছেন না, কারণ তাঁরা জনতার মধ্যে থাকেন না।
এ দিন কংগ্রেসকে কড়া জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যাঁরা ২০১৪ তেই আটকে আছেন, তার থেকে বেরতেই পারছেন না। তার ফলও পেতে হয়েছে আপনাদের। দেশের মানুষ আপনাদের চিনে গিয়েছে। কেউ আগেই চিনেছে, কেউ দেরিতে চিনেছে, কেউ আগামিদিনে চিনে নেবে।’ কোথায় কত বছর আগে শেষবার কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল, সেই হিসেবও এ দিন লোকসভায় তুলে ধরেন মোদী। তিনি উল্লেখ করেন, নাগাল্যান্ডের মানুষ ১৯৯৮ শেষবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল, প্রায় ২৪ বছর আগে। ওডিশায় শেষ কংগ্রেস জিতেছিল ১৯৯৫ সালে, প্রায় ২৭ বছর আগে।
মোদী আরও বলেন, ‘গোয়ায় ১৯৯৪-তে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল, ২৮ বছরেও আর প্রবেশ করতে পারেনি।’ ত্রিপুরায় ৩৪ বছর আগে ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস শেষবার জিতেছিল বলে উল্লেখ করেন মোদী। এ ছাড়া, ১৯৮৫ সালে উত্তর প্রদেশে, আর পশ্চিমবঙ্গে ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালে কংগ্রেসকে শেষবার মানুষ ভোট দিয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন করেন। তামিলনাড়ুতেও কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ হবে বলে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই এ দিন প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দিয়ে বলেন, ‘আপনারা এগুলো দেখতে পেতেন, যদি আপনারা মানুষের মধ্যে থাকতেন।’ পরে কংগ্রেসের হারের খতিয়ান তুলে ধরে মোদী বলেন, ‘মানুষ যদি একবার ঠিক রাস্তা ধরে ফেলে, তাহলে আর আপনাদের প্রবেশ করতে দেয় না।’ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এত বড় গণতন্ত্রে এত দিন শাসক হিসেবে থাকার পরও বারবার হার। এত হারের পরও আপনাদের অহঙ্কার যায় না! আপনাদের ইকোসিস্টেম সেই অহঙ্কার যেতেও দেয় না। শায়রির মাধ্যমেও এ দিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তিনি। কংগ্রেসের অহঙ্কারের নমুনা বোঝাতে মোদীর শায়রির একটি লাইনে ছিল, ‘ওদের আয়না দেখিও না, ওরা আয়নাকেও ভেঙে দেবে।’ সরকারের অন্ধ বিরোধ গণতন্ত্রের পক্ষে ঠিক নয় বলেও উল্লেখ করেন মোদী।
এবারের বাজেটেও ছোট কৃষকদের কথা উল্লেখ করেছে মোদী সরকার। এ দিন লোকসভার ভাষণে ফের প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ছোট কৃষকদের কথা। তিনি বলেন, ‘ছোট কৃষকদের মজবুত বানাতে হবে। উন্নয়ন প্রয়োজন।’ কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘ছোট কৃষকদের প্রতি যাদের মনে ঘৃণা আছে, যাঁরা ছোট কৃষকদের কষ্ট বুঝতে পারেন না, তাঁদের কৃষকদের নিয়ে রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই।’
এ দিন সংসদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন মোদী। বলেন, ‘গোলামি করার মানসিকতা বদলায়নি এখনও। আর এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।’ তিনি বলেন আরও বলেন, ‘যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না, তারা ইতিহাসেই হারিয়ে যায়। কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ‘আপনাদের জন্য ফাইলই সব। আর আমরা লাইফ বদলে দেওয়ার জন্য কাজ করি।’
এ দিন বক্তব্যের মাঝে একাধিকবার জওহরলাল নেহরুর কথা উদ্ধৃত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে মোদী মনে করিয়ে দেন, লালকেল্লা থেকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু বলেছিলেন, কোরিয়ায় কোনও সমস্যা হলেও তার প্রভাব পড়ে ভারতে। এ দেশে মূল্যবৃদ্ধি হয়। আমেরিকায় কিছু হলেও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময় গ্লোবালাইজেশন ছিল না, তা সত্ত্বেও নেহরুকে কেন এমন বলতে হয়েছিল, সেই প্রশ্ন তুলে মোদী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা কতটা প্রবল ছিল যে লালকেল্লা থেকে মানুষকে বার্তা দিতে হয়েছিল।’