AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গণতন্ত্রের বৃহত্তম শত্রু ‘পরিবারতন্ত্র’ উপড়ে ফেলুন, যুবাদের আহ্বান নমোর

তিনি এদিন যুব সমাজকে রাজনীতি যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা যদি রাজনীতিতে প্রবেশ না করেন, তবে 'পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিষ' ক্রমশ গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করে দেবে।

গণতন্ত্রের বৃহত্তম শত্রু 'পরিবারতন্ত্র' উপড়ে ফেলুন, যুবাদের আহ্বান নমোর
গণতন্ত্রের বৃহত্তম শত্রু 'পরিবারতন্ত্রের বিষ' উপড়ে ফেলতে যুবাদের আহ্বান নমোর
| Updated on: Jan 12, 2021 | 4:45 PM
Share

নয়া দিল্লি: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি গণতন্ত্রের (Democracy) ‘বৃহত্তম শত্রু’। একে উপড়ে ফেলতে হবে। যারা এতদিন পদবির জোরে নির্বাচনে জয়লাভ করে এসেছেন, তাঁদের ভাগ্যও এখন টলমল করছে। এদিন এক সংসদীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নাম না করে এভাবেই গান্ধী পরিবারকে বিদ্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জাতীয় যুব দিবসে ভিডিয়ো কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এদিন যুব সমাজকে রাজনীতি যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা যদি রাজনীতিতে প্রবেশ না করেন, তবে ‘পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিষ’ ক্রমশ গণতন্ত্রকে আরও দুর্বল করে দেবে।

মোদীর কথায়, “গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে পরিবারতন্ত্র (Dynastic Politics), যা এখনও বর্তমান। এটা দেশের সামনে এমন একটা চ্যালেঞ্জ যা শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। যারা এতদিন পদবির জোরে নির্বাচনে জিতে এসেছেন তাঁদের ভাগ্য এখন টলমল করছে, এটা সত্যি। কিন্তু, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের এই ব্যাধি এখনও শেষ হয়ে যায়নি। রাজনীতিতে এখনও কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের পরিবারকে রক্ষা করা।” প্রধানমন্ত্রী নিজের এই বক্তব্যে কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকেও নিশানা করেছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আরও পডুন: ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আসছে উন্নত প্রযুক্তি! চিন, পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা এই ধরনের রাজনীতি করেন তাঁরা কখনই দেশকে অগ্রাধিকার দেন না। তাঁদের সবকিছুই আমি এবং আমার পরিবারকে কেন্দ্র করে।” রাজনীতিতে যুব সম্প্রদায়কে আসার আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, “বাকি জায়গাগুলির মতো রাজনীতিতের যুবাদের প্রয়োজন। তাঁদের চিন্তাভাবনা, প্রাণশক্তি, উৎসাহ রাজনীতিকে উদ্বুদ্ধ করতে করতে সক্ষম। একটা সময় বাড়ির লোকেরা মনে করত, কোনও যুবক রাজনীতিতে যাচ্ছে মানে সে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে। সেই ধরনের পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়নি ঠিকই। কিন্তু জনগণ এখন সৎ মানুষ চিনে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে শিখেছেন”, বলেন মোদী।

তিনি আরও বলেন, “দেশ এখন এতটা সচেতন হয়ে গিয়েছে যে যাদের পূর্বপুরুষদের দুর্নীতি ছিল, সেটাই এখন তাঁদের উপর বোঝা হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষেক সচেতনতার ক্ষমতা এতটাই।”

আরও পডুন: করোনার আঁচ এড়াতে বাজেটও পেশ হতে পারে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই