ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আসছে উন্নত প্রযুক্তি! চিন, পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের
চিন প্রসঙ্গে নরবণে বলেন, "উত্তর সীমান্তে আমরা সবসময় সতর্ক ছিলাম। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি একটা শান্তির সমাধান আসবে। তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত সেনা।"
নয়া দিল্লি: সামনেই সেনাদিবস। তার আগে বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবণে (Narvane)। মঙ্গলবারের সাংবাদিক সম্মেলনে নরবণে সরাসরি আক্রমণ করেন পাকিস্তান ও চিনকে। তাঁর সাফ কথা, দুই প্রতিবেশী দেশের সম্মিলিত হুঁশিয়ারি একেবারেই সহ্য করা হবে না।
লাদাখ উত্তেজনা এখনও চরমে। পাকিস্তান সীমান্তে কয়েক মাস আগেই গুলি চলেছে। তার মধ্যেই একযোগে দুই দেশকে নিশানা করলেন নরবণে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে দুষে ভারতের কড়া অবস্থানের কথাও জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সামান্যতম সন্ত্রাসবাদও সহ্য করব না।”
নরবণে জানান, গত বছর একাধিক সমস্যা ছিল। তবে প্রধান দুই সমস্যা ছিল করোনা ও উত্তর সীমান্ত, অর্থাৎ লাদাখ। চিনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ক্রমেই উত্তেজনা বেড়েছে গালোয়ান সংলগ্ন লাদাখ সীমান্তে। উচ্চ সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পরও সেনা সরায়নি কোনও দেশ। চিন প্রসঙ্গে নরবণে বলেন, “উত্তর সীমান্তে আমরা সবসময় সতর্ক ছিলাম। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি একটা শান্তির সমাধান আসবে। তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত সেনা।”
ভবিষ্যতে সেনার সঙ্গে মেলবন্ধন হবে উন্নত প্রযুক্তির। সেনার প্রযুক্তি সম্পর্কে সেনাপ্রধান বলেন, “ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর সেনাবাহিনী প্রস্তুতের রোডম্যাপ প্রস্তুত।” চিন প্রসঙ্গে কিছুটা নরমে গরমে বার্তা দিলেন নরবণে। তবে তাঁর কথা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, চিন নিয়ে সেনার অন্দরে সতর্কতার বিন্দুমাত্র অভাব নেই।
আরও পড়ুন: করোনার আঁচ এড়াতে বাজেটও পেশ হতে পারে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার রেশ একেবারেই কমেনি। তীব্র ঠান্ডায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চলে দাঁড়িয়ে আছে দুই দেশের সেনা। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্র মারফত খবর পেয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে গভীর অঞ্চলের ১০ হাজার সেনা সরিয়েছে চিন। তবে এলএসির সম্মুখ প্রান্তরে এখনও কোনও বদল নেই। আগের মতোই দাঁড়িয়ে রয়েছে লাল ফৌজ।