Calcutta High Court: বাম আমলে শিক্ষায় দুর্নীতি? ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপকদের নিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আগামী ২৭ জানুয়ারি ওই সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা: গত ৩ বছরে শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে একাধিক তদন্ত চলছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বাম আমলে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে মামলায় বৃহস্পতিবার বাম আমলে ২০০৯ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন রিপোর্ট দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিল।
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আগামী ২৭ জানুয়ারি ওই সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্যদিকে, ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় সিআইডির কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন ওই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে।
এই খবরটিও পড়ুন
প্রসঙ্গত, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। উত্তর ২৪ পরগনায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের চাকরি বাতিল হয়। অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। বৃহস্পতিবার সব জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলকে ২০০৯ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের এক্সচেঞ্জ কার্ড খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট। বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে সিট গঠন করা হতে পারে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।