AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gen Z Debt Trap: বিলাসিতার জন্য দেদার ঋণ! খাদের কিনারায় দেশের তরুণ প্রজন্ম?

Loan Trap: আসলে এতদিন মানুষ ঋণ নিতেন চিকিৎসার জন্য বা বিপদে পড়ে। অর্থাৎ পার্সোনাল লোন। আর এবার দেখা গিয়েছে ২৭ শতাংশ ব্যক্তি লোন নিয়েছেন শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর জন্য। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটা একটা অভূতপূর্ব বদল।

Gen Z Debt Trap: বিলাসিতার জন্য দেদার ঋণ! খাদের কিনারায় দেশের তরুণ প্রজন্ম?
দেনায় ডুবছেন আপনিও?Image Credit: Rapeepong Puttakumwong/Moment/Getty Images
| Updated on: Dec 24, 2025 | 2:40 PM
Share

চলতি বছরে প্রথম ৬ মাসে এক অদ্ভূত ছবি দেখা গিয়েছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এটা একটা অভূতপূর্ব বদল। কী হয়েছে? আসলে এতদিন মানুষ ঋণ নিতেন চিকিৎসার জন্য বা বিপদে পড়ে। অর্থাৎ পার্সোনাল লোন। আর এবার দেখা গিয়েছে ২৭ শতাংশ ব্যক্তি লোন নিয়েছেন শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর জন্য।

এই বিষয় নিয়ে লিঙ্কডইনে পোস্ট করেছেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ সার্থক আহুজা। তিনি বলছেন, ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম চিকিৎসা বা সম্পত্তির বদলে ‘ট্রাভেল’ বা ভ্রমণের কারণে লোন নেওয়ার পরিমাণ বাড়ছে হু হু করে।

কেন এই ঋণ-বিলাসিতা?

আপনি হয়তো ভাবছেন তরুণ প্রজন্ম কেন জমানোর বদলে ওড়াতে ব্যস্ত? এর নেপথ্যে রয়েছে দুটি বড় কারণ:

  • আবাসনের খরচ আকাশছোঁয়া: বাড়ির দাম এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমান প্রজন্মের মানুষ ভাবছে, ২০ বছর ধরে ২ লক্ষ টাকা ইএমআই দেওয়া অসম্ভব। তাই সঞ্চয় ছেড়ে তাঁরা খুঁজছেন তাৎক্ষণিক আনন্দ।
  • সহজ লোন: ফিনটেক অ্যাপে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন মিলছে মুহূর্তে। এ ছাড়াও মিলছে জিরো কস্ট ইএমআইয়ের সুবিধাও। আর সেই লোভে আইফোনের যা বিক্রি হয়, তার ৭০ শতাংশই এখন হয় ইএমআইতে।

ভারত বনাম চিন

ভারতের ছবিটা তো তুলে ধরলাম আপনার সামনে। কিন্তু চিনে কী হচ্ছে? দেখা যাচ্ছে চিনের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু হাঁটছে ঠিক উল্টো পথেই। কোভিড পরবর্তী ধাক্কায় সেখানকার তরুণরা এখন খরচের বদলে সঞ্চয়ে মন দিয়েছেন। তাঁরা ১ গ্রামের ‘গোল্ড বিন’ বা সোনার কুচি জমাচ্ছেন। সার্থক আহুজার কথায়, “ভারতীয়রা ভাবছেন কাল আয় বাড়বে তাই আজ খরচ করি, আর চিনারা ভাবছেন কাল কাজ থাকবে না তাই আজ টাকা জমানোই মঙ্গল।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যের দামি স্মার্টফোন বা বিদেশের ছবি দেখে প্রলুব্ধ হওয়ার আগে একবার ভাবুন— সেই চাকচিক্য ঋণের টাকায় নয় তো? জীবন কিন্তু ইএমআইতে চলে না।