Darjeeling Glenary’s: গ্লেনারিজ নিয়ে বড় নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, বড়দিনের আগেই বড় খবর
Calcutta High Court: আবগারি বিধি না মানার অভিযোগ এনে গত ৪ ডিসেম্বর আবগারি দফতর গ্লেনারিজ বারের লাইসেন্স সাসপেন্ড করে। ৮ ডিসেম্বর বারটি সিল করে দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বার কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতের মামলা করা হয়।

জলপাইগুড়ি: দার্জিলিং মানেই গ্লেনারিজের সামনে দাঁড়িয়ে একটা ছবি তোলা বাধ্যতামূলক। গ্লেনারিজে ব্রেকফাস্ট না করলে দার্জিলিং ট্যুরটাই মাটি। কিন্তু সদ্য এক নোটিসে বন্ধ হয়ে যায় সেই গ্লেনারিজের বার। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় পানশালায়। সামনে বড়দিনের ছুটিতে দার্জিলিং-এ যে পর্যটকদের ভিড় যে বাড়বে, তা অনুমানযোগ্য। তার আগে এভাবে বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ২৫ ডিসেম্বরের আগেই এল সুখবর।
আজ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ছিল মামলা। সেই মামলায় সাময়িক স্বস্তি কর্তৃপক্ষের। আজ, বুধবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বার চালু রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তবে এর মাঝে আগামী ৫ জানুয়ারি আবারও সার্কিট বেঞ্চে উঠবে মামলাটি।
আবগারি বিধি না মানার অভিযোগ এনে গত ৪ ডিসেম্বর আবগারি দফতর গ্লেনারিজ বারের লাইসেন্স সাসপেন্ড করে। ৮ ডিসেম্বর বারটি সিল করে দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বার কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতের মামলা করা হয়। সেই মামলার শুনানিতে আজ আদালত ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বার চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী এশা আচার্য। পরে রাজ্য সরকার ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
পুলিশ দাবি করেছিল, আবগারি আইন অমান্য করা হয়েছে বলেই গ্লেনারিজের বার বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাই আপাতত তিন মাস বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের আরও অভিযোগ ছিল, গ্লেনারিজে যে নিয়ম করে গানের আসর বসে তার জন্যও অনুমতি নেওয়া ছিল না। যদিও সবটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন মালিক অজয় এডওয়ার্ড।
