
গঙ্গা থেকে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে বিশ্বনাথ মন্দিরে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই তৈরি হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ করিডর। ২০১৯ এ এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, ১৩ ডিসেম্বর সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। এ দিন দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে 'দিব্য কাশী, ভব্য কাশী।' মন্দিরে মন্দিরে শিব আরাধনার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। তার আগে সেজে উঠেছে কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির। কাশী জুড়ে সাজো সাজো রব। আলোয় সাজানো হয়েছে মন্দির চত্বর।

৫ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে তৈরি হয়েছে এই প্রকল্প। নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে ৪০ টি প্রাচীন মন্দির, ভক্তদের জন্য ২৩ টি নতুন বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সাধু সন্ত থেকে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এ দিন উপস্থিত থাকবেন কাশীতে। সাক্ষী থাকবেন সেই বিশেষ মুহূর্তের। করিডর জুড়ে থাকবে রুদ্রাক্ষ, বায়েল, পারিজাত, আমলা ও অশোক গাছ।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিখ্যাত ধর্মীয় স্থানটি ‘স্বর্ণ মন্দির’ নামেও পরিচিত। বহু পুরনো মানচিত্রে এই নামের উল্লেখ দেখা যায়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী কাশীতে আসার আগে গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়ে। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মন্দির চত্বরে। সবকিছু যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তা নিশ্চিত করতে রাস্তাতেও বাড়ানো হয়েছে টহলদারি।

পর্যটকদের টানতে গঙ্গার উপর রো-রো ভেসেল এবং বারাণসী-গাজিপুর হাইওয়েতে তিন লেনের ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। ১৫৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রকল্পে ৪৭ টি গ্রামীণ সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ১১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। লাহারতারা-চৌকাঘাট ফ্লাইওভার একটি ফুড কোর্ট এবং চারিদিক খোলা ক্যাফে থাকছে।

জোর দেওয়া হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থার দিকেও। গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্প এবং পুরানো নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করার কথা বলা হয়েছে। কাশীতে ঘাট এবং নিকাশি পাম্পিং স্টেশনগুলিতে অনলাইন বর্জ্য নিরীক্ষণ ব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বারাণসী।

এদিন করিডরের কেবল প্রথম অংশের উদ্বোধন করা হবে। তারকা খচিত এই অনুষ্ঠানে কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, বিজেপি শাসিত সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত থাকবেন। বিকেলে ক্রুজ বোটে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে হওয়া গঙ্গা আরতিও দেখবেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতারা।