Mamata Banerjee: জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক মামলায় মমতার বিরুদ্ধে জারি সমন বাতিল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 13, 2023 | 8:49 AM

National anthem case Mamata Banerjee: জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক মামলায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জারি হওয়া সমন বাতিল করল মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত।

Mamata Banerjee: জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক মামলায় মমতার বিরুদ্ধে জারি সমন বাতিল
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়

Follow Us

মুম্বই: জাতীয় সঙ্গীত বিতর্ক মামলায় স্বস্তি পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে এই মামলায় তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল মুম্বইয়ের এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি), মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত সেই সমন খারিজ করে দিল। বিশেষ বিচারক আরএন রোকাদে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সমন পাঠানোর সময় উপযুক্ত বিধানগুলি অনুসরণ কর হয়নি। দুই পক্ষের যুক্তি শুনে বিশেষ বিচারক ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলাটি ফের অভিযোগ যাচাইয়ের পর্যায় থেকে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মুম্বইয়ের এক বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্তা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময় তিনি উঠে দাঁড়াননি বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে মুম্বই সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী এবং সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। সেই সময়ই এক অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় তিনি উঠে দাঁড়াননি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে মমতার বিরুদ্ধে জাতীয় সম্মানের অবমাননা প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্তা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বইয়ের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন পাঠিয়েছিল।

এর বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিলেন মমতা। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে সমন জারি করতে গেলে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই ক্ষেত্রে সেই অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সুমেশ পাঞ্জওয়ানি অবশ্য যুক্তি দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফর ছিল রাজনৈতিক, সরকারি সফর ছিল না। তাই, এই ক্ষেত্রে কোনও অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন ছিল না। শুনানি শেষে বিচারক অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনই মঞ্জুর করেন।

Next Article