৪ মিনিটে ৫২ বার সরি বলেছিল, কী এমন হল স্কুলের ভিতরে যে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিল জাতীয় স্তরের প্লেয়ার?

Student: স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই কিশোর ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপালের অফিসের দিকে যাচ্ছে। সেখানে ৪ মিনিট ছিল। ফুটেজেই দেখা গিয়েছে, ওই ৪ মিনিটে ৫২ বার সরি বলেছিল কিশোর। পরে ওই কিশোর তাঁর মা-বাবাকে জানায় যে প্রিন্সিপাল তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেবেন বলেছেন।

৪ মিনিটে ৫২ বার সরি বলেছিল, কী এমন হল স্কুলের ভিতরে যে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিল জাতীয় স্তরের প্লেয়ার?
এই স্কুলেই পড়ে পড়ুয়া।Image Credit source: X

|

Nov 30, 2025 | 12:06 PM

ভোপাল: একের পর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যা। কী হচ্ছে দেশের বড় বড় নামী-দামি স্কুলের অন্দরে? দিল্লিতে ও রাজস্থানে স্কুলপড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার পর এবার মধ্য প্রদেশ। জাতীয় স্তরে স্কেটিং প্লেয়ার স্কুলের চতুর্থ তল থেকে ঝাঁপ দিল। বছর তেরোর ওই কিশোরের এমন সিদ্ধান্তের পিছনে স্কুলের প্রিন্সিপালকেই দায়ী করা হয়েছে।

শুক্রবার মধ্য প্রদেশের রতলামের দোঙ্গরে নগরে একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ তল থেকে ঝাঁপ দেয়। অভিযোগ, স্কুলের প্রিন্সিপাল তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল তাঁর স্কেটিং কেরিয়ার শেষ করে দেবে বলে। সাসপেন্ড করে দেওয়ার এবং সমস্ত মেডেল কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরই অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া স্কুল বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দেয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে কিশোরের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুলে লুকিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছিল ওই কিশোর। ক্লাসরুমের ভিতরে একটি ভিডিয়োও রেকর্ড করে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। স্কুল কর্তপক্ষ জানতে পেরেই ওই কিশোরের মা-বাবাকে স্কুলে ডাকে।

স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই কিশোর ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপালের অফিসের দিকে যাচ্ছে। সেখানে ৪ মিনিট ছিল। ফুটেজেই দেখা গিয়েছে, ওই ৪ মিনিটে ৫২ বার সরি বলেছিল কিশোর। পরে ওই কিশোর তাঁর মা-বাবাকে জানায় যে প্রিন্সিপাল তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেবেন বলেছেন। তাঁকে স্কুল থেকে সাসপেন্ড করে, মেডেল কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। ওই কথা শুনে ভয় পেয়েই কিশোর করিডর দিয়ে দৌড়ে গিয়ে চারতলা থেকে ঝাঁপ দেয়।

জখম কিশোরের বাবা বলেছেন, “আমায় ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ডাকা হয়েছিল। স্কুলে গিয়ে শুনলাম, আমার ছেলে পড়ে গিয়েছে…স্কেটিংয়ে দুইবার জাতীয় স্তরে খেলেছে। প্রথমে স্কুল থেকে ফোন এসেছিল। স্কুলে আসতে বলা হয়েছিল। পরে ফোন করে বলা হয় স্কুলে নয়, সোজা হাসপাতালে আসতে।”