Mumbai: প্রেমিকের সুইসাইড নোটে লেখা ‘এল০১-৫০১’, একমাস পর মিলল তরুণীর লাশ
Mumbai: সুইসাইড নোটে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল ওই প্রাক্তন প্রেমিক। কিন্তু, কোথায় মেয়েটির দেহ? সুইসাইড নোটে ছিল একটি সূত্র। লেখা ছিল 'এল০১-৫০১'। কী এই সূত্রের অর্থ? অবশেষে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি), এই ধাঁধার সমাধান করতে পেরেছে পুলিশ।
মুম্বই: ১২ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ১৯ বছরের তরুণীটি। কলেজে গিয়েছিলেন, আর বাড়ি ফেরেননি। অদ্ভুতভাবে ওই একই দিনে পাওয়া গিয়েছিল তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকের দেহ। সঙ্গে ছিল একটা সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল ওই প্রাক্তন প্রেমিক। কিন্তু, কোথায় মেয়েটির দেহ? সুইসাইড নোটে ছিল একটি সূত্র। লেখা ছিল ‘এল০১-৫০১’। কী এই সূত্রের অর্থ? অবশেষে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি), এই ধাঁধার সমাধান করতে পেরেছে পুলিশ। আর তারপরই একমাসেরও বেশি সময় পর উদ্ধার করা গিয়েছে ওই তরুণীর পচা-গলা দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নভি মুম্বইয়ে।
নিহত তরুণীর নাম বৈষ্ণবী বাবর। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক বছরের সম্পর্ক ছিল বছর ২৪-এর বৈভব বুরুঙ্গালের। সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এই নিয়ে ক্ষোভ থেকেই, নভি মুম্বইয়ের খারঘর হিলস এলাকার জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বৈষ্ণবী বাবরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বৈভব, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ১২ ডিসেম্বর কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি বের হয়েছিলেন বৈষ্ণবী। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিনই কলম্বলি থানায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর মা। একই দিনে, জুইনগর স্টেশনে রেল লাইনের উপর থেকে পাওয়া গিয়েছিল বৈভব বুরুঙ্গালের দেহ। জানা যায়, ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। এই জোড়া মৃত্যুর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল পুলিশ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৈভবের মোবাইল ফোন থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে, বৈভব স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি বৈষ্ণবীকে খুন করেছেন। আর নিজেও আত্মঘাতী হতে চলেছেন। বৈষ্ণবীর দেহ কোথায়, তার সূত্র হিসেবে বৈভব লিখে গিয়েছিল একটি নম্বর, এল০১-৫০১। প্রথমে পুলিশ এর অর্থ বুঝতে পারেনি। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন খারঘর পাহাড় এলাকায় দুজনে একসঙ্গে ছিল। পুলিশ বুঝতে পারে, এল০১-৫০১ হল ওই এলাকায় বন বিভাগের লাগানো গাছের চিহ্নিতকরণ নম্বর।
এরপর, জঙ্গলের মধ্যে ওই গাছ খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ ছিল। পুলিশ, বন বিভাগ, দমকলের এক যৌথ দল জঙ্গল তোলপাড় করে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশির জন্য ড্রোনও কাজে লাগানো হয়। ১০ দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর, অবশেষে খারঘরের ওওয়ে ক্যাম্প এলাকায়, একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ঝোপের মধ্য থেকে পাওয়া যায় বৈষ্ণবীর মৃতদেহ। পুলিশ বলেছে, কলেজে যাওয়ার সময় সে যে পোশাক পরেছিল, দেহচির পরনে সেই পোশাকটিই ছিল। এছাড়া, তার হাতঘড়ি ছিল এবং কলেজের আইডি কার্ডের ভিত্তিতে দেহটি শনাক্ত করা হয়।