NCERT Panel proposal: ইতিহাস বইয়ে পড়ানো হবে রাম-রামায়ণ-বনবাসের কাহিনি

NCERT Panel proposal: যতই এগুলিকে মহাকাব্য বলা হোক না কেন, সরকার অনুমোদন দিলে, শিগগিরই এই বিষয়গুলি স্কুলের ইতিহাস বইতে জায়গা করে নেবে। এগুলিকে বলা হবে 'ক্ল্যাসিক্যাল পিরিয়ড'-এর ইতিহাস। এনসিআরটির এই কমিটির চেয়ারপার্সন সিআই আইজ্যাক বলেছেন, কেন আমাদের ভারতের সোনালী যুগের কথা থাকবে না?”

NCERT Panel proposal: ইতিহাস বইয়ে পড়ানো হবে রাম-রামায়ণ-বনবাসের কাহিনি
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 21, 2023 | 10:35 PM

নয়া দিল্লি: ইতিহাস বইতে রামায়ণের কাহিনি, রাজা হিসেবে রামের কাহিনি, তাঁর বনবাসের কাহিনি, তাঁর শাসন পদ্ধতি করার উপায়? যতই এগুলিকে মহাকাব্য বলা হোক না কেন, সরকার অনুমোদন দিলে, শিগগিরই এই বিষয়গুলি স্কুলের ইতিহাস বইতে জায়গা করে নেবে। এগুলিকে বলা হবে ‘ক্ল্যাসিক্যাল পিরিয়ড’-এর ইতিহাস। সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে, ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ বা ‘এনসিইআরটি’র উচ্চ-স্তরের কমিটি এই প্রস্তাব দিয়েছে সরকারকে।

এনসিআরটির এই কমিটির চেয়ারপার্সন সিআই আইজ্যাক বলেছেন, “বর্তমানে ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে ভারতের প্রাচীন ইতিহাস বলে যা পড়ানো হয়, তাতে মূলত বিদেশি আগ্রাসনের কথা বলা আছে। বিদেশি বাহিনী সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করা হয়েছে। যারা, আমাদের আক্রমণ করেছিল এবং শাসন করেছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে। মহাকাব্যিক যুগের ইতিহাস এবং বৈদিক যুগের ইতিহাস বইতে নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা ভারতের স্বর্ণযুগের কথা জানতে পারে না। তাদের পাঠক্রমে রামায়ণ বা মহাভারত নেই। আমাদের প্রথম বৈঠকে আমরা, রামের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছি। কেন আমরা শুধু হানাদারদের ইতিহাস পড়ব? যে যুদ্ধে আমরা হেরেছি, সেই কাহিনি পড়ব? কেন আমাদের ভারতের সোনালী যুগের কথা থাকবে না?”

আইজ্যাকের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের কমিটি, এর আগে ইতিহাসের বইয়ে দেশের নাম হিসেবে শুধু ‘ভারত’ ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে। ‘ক্ল্যাসিক্যাল ইতিহাস’ বলে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, শাস্ত্রীয় ইতিহাসে বেদের কিছু অংশ, বৈদিক যুগ, রামায়ণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং রাজা হিসাবে রামের যাত্রাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া কমিটি সুপারিশ করেছে, আধুনিক ইতিহাসে ব্রিটিশ শাসকদের কথা কমিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রশেখর আজাদ-সহ ‘জাতীয় বীর’দের উপর বিস্তৃত অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।