মুম্বই: তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আরব সাগরের তীরে কার রাজত্ব থাকবে, তা নিয়ে তুমুল টানাপোড়েন চলছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আভাস দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার রাতেই সরকারি বাসভবন ছেড়েও চলে যান তিনি। এদিকে, মহা আগাড়ি জোটের দুই জোটসঙ্গী কংগ্রেস ও এনসিপিও সঙ্কট মেটানোর উপায় খুঁজতে বৈঠকে বসে। সূত্রের খবর, সরকার বাঁচাতে একনাথ শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, এমনটাই চান তারা। শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর এটিই একমাত্র পথ বলে দাবি তাদের।
বালা সাহেব ঠাকরের দেখানো হিন্দুত্ববাদের পথে চলছে না শিবসেনা, এই অভিযোগেই সরব হয়েছেন শিবসেনা নেতা তথা নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। বিধান পরিষদের ফল প্রকাশের পরই বিপুল সংখ্যক বিধায়কদের নিয়ে গুজরাটে উড়ে যান একনাথ শিন্ডে। সেখানে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য শিবসেনার দুই প্রতিনিধি পাঠানো হলেও, বরফ গলেনি। ৪০ জনেরও বেশি বিধায়কদের নিয়ে তিনি বুধবার পৌঁছন অসমের গুয়াহাটিতে। আপাতত সেখানের ফোর্ট র্যাডিসন ব্লু-তে রয়েছেন তাঁরা। শিবসেনার ভাঙন রুখতে কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরুক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, এমনটাই দাবি তাঁর। এদিকে, সেই দাবি মানতে নারাজ উদ্ধব ঠাকরে।
এই অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই গতকাল কংগ্রেসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। ওই বৈঠকেই একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার কথা উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য,গতকালই একনাথ শিন্ডে কংগ্রেস ও এনসিপিকে তোপ দেগে বলেছিলেন, অস্বাভাবিক জোট ভেঙে বেরিয়ে আসা উচিত শিবসেনার। দল ও দলীয় কর্মীদের রক্ষা করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। গতকাল একনাথ দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়ক রয়েছেন। পরে জানা যায়, অসমের পাঁচতারা হোটেলে শিন্ডের সঙ্গে ৩৩ জন শিবসেনা বিধায়ক ও ৫ জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ শিবসেনা শিবিরের দাবি, একাধিক বিধায়ককে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১৭ জন বিধায়ক মুম্বই ফিরতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই ৩৪ জন বিধায়কর সমর্থনে রাজ্যপালের কাছে নিজেকে দলনেতা হিসাবে ঘোষণা করে চিঠিও পাঠিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। এবার মহা বিকাশ আগাড়ি জোট বাঁচাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় কি না, তাই-ই এখন দেখার।