
পটনা: ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ভোটগ্রহণের আর মাসখানেকও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ(NDA)-তে আসন বণ্টন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছিল। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রবিবার বিহারের নির্বাচনে শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টনের কথা ঘোষণা করল এনডিএ। কে কতগুলি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে? বিজেপি কি নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)-র চেয়ে বেশি আসনে প্রার্থী দেবে? এনডিএ শরিকরা কে কত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার হিসেব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে।
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৪টি আসন। সেখানে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) ৪৩টি আসন পেয়েছিল। সেই ফলের ভিত্তিতে এবার বিজেপি জেডি(ইউ)-র চেয়ে বেশি আসনে প্রার্থী দেবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছিল। এদিন বিহারের ২৪৩টি আসনে এনডিএ শরিকদের আসন বণ্টনের হিসেব দিয়ে বিনোদ তাওড়ে জানিয়েছেন, বিজেপি ও জেডি(ইউ) সমান আসনে প্রার্থী দিচ্ছে। দুটি দলই ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বাকি যে ৪১টি আসন থাকছে, তার মধ্যে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি(রামবিলাস) ২৯টি আসনে লড়বে। এছাড়া RSLP ও HAM ৬টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
নয়াদিল্লিতে বিজেপির হেড কোয়ার্টার্সে এদিন এক বৈঠকে এই আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি। এছাড়াও এনডিএ-র শরিক দলগুলির নেতারা ছিলেন।
এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার আগে পটনায় HAM প্রধান জিতনরাম মাঝি বলেছিলেন, তিনি এনডিএ-র অনুগত সদস্য। বিজেপি নেতৃত্ব আসন বণ্টন নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি তা মেনে নেবেন।
২০২০ সালে বিজেপি ১১০টি আসনে লড়েছিল। সেখানে জেডি(ইউ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ১১৫টি আসনে। এবার দুটি দলই সমান আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আসন বণ্টনের কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনোদ তাওড়ে লেখেন, এনডিএ-র সব শরিক এই আসন বণ্টকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিহারে এবার দুই দফায় ভোট গ্রহণ হবে। ৬ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। বিনোদ তাওড়ে জানান, ফের এনডিএ সরকার গঠন করবে বলে তাঁরা আশাবাদী।