
রাঁচী: কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। এ কথা প্রমাণ করে দেখাল রোহিত। আর্থিক সামর্থ্য নেই, শুধুমাত্র অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর প্রচেষ্টার জোরেই ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা, নিট (NEET UG) -এ দারুণ ফল করল দুস্থ পরিবারের ছেলে।
ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের ছেলে রোহিত কুমার। নিট পরীক্ষায় ৫৪৯ নম্বর পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে অতি সাধারণ এই ছেলে। সর্বভারতীয় স্তরে রোহিতের র্যাঙ্ক ১২,৪৮৪। ঝাড়খণ্ডের সরকারি মেডিক্যাল কলেজেই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন রোহিত।
তবে এই আসন অর্জন করতে রোহিতকে যে পরিশ্রম করতে হয়েছে, তা অনুপ্রাণিত করবে সকলকে। বাবা সবজি বিক্রি করতেন। সংসার চালাতে কাজ করতে হয় রোহিতকেও। সারাদিন ঠেলাগাড়ি করে মোবাইলের কভার বিক্রি করে রোহিত। শুধুমাত্র চোখ ভরা স্বপ্ন ও অদম্য প্রচেষ্টার জোরেই সারা রাত পড়াশোনা করে মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় স্থান অর্জন করেছেন রোহিত।
রোহিত কুমার জানিয়েছেন, পড়াশোনা করতে খুব ভাল লাগে। দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর কলেজে ভর্তি হলেও, পরে তা ছেড়ে দেয় নিটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আর তাতেই মিলল সাফল্য।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন কোভিডকালে। রোহিত জানিয়েছেন, করোনাকালে রোহিত একটি মেডিক্যাল স্টোরে কাজ করতেন। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হন মেডিসিন পড়ার। নিটের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। সারাদিন ঠেলাগাড়িতে করে মোবাইলের কভার বিক্রি করতেন। বাড়ি ফিরে রাত ৩টে পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন। পরের দিন আবার সকাল ৭টায় উঠে কাজে বেরতেন।
ফিজিক্সওয়ালার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও অলখ পাণ্ডেই রোহিতের এই জীবন সংগ্রাম তুলে ধরেছেন। তিনি নিজে গিয়ে রোহিতের সঙ্গে দেখা করেন এবং অভিনন্দন জানান। ফিজিক্সওয়ালার সিইও জানিয়েছেন, রোহিত তাদের উমীদ ব্যাচের পড়ুয়া ছিল। এই কোচিংয়ে নিখরচায় নিটের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।