নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালের NEET-UG পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে, শনিবার এই অভিযোগের তদন্তের ভার সিবিআই-কে (CBI) দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA)। শুধু সিবিআই-কে তদন্তের ভার দেওয়াই নয়, এই পরীক্ষার পরিচালন সংস্থা, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে এই সরকারি সংস্থার ডিরেক্টরকেও সরিয়ে দিয়েছে সরকার। পরীক্ষায় দুর্নীতি রুখতে নতুন আইনও এনেছে। সরকারের এই সকল তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছে আইএমএ।
রবিবার এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রকাশ করেছে আইএমএ। তারা বলেছে, “নিট-ইউজি-তে ‘অনিয়মের’ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য এই মামলাটি সিবিআই-কে হস্তান্তর করার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।” এনটিএ-র ডিরেক্টরকে সরিয়ে এনটিএ-র ডিজি, প্রদীপ কুমার খারোকাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়াতে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আইএমএ। তারা আরও বলেছে, “প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অসদাচরণ এবং অনিয়ম মোকাবিলায় কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য আমরা সরকারের প্রশংসা করি। পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ, পরিষেবা প্রদানকারী বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে, অপরাধীরা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে এবং একটি ন্যূনতম ১ কোটি টাকা জরিমানা হবে। ছাত্ররা ভারতের ভবিষ্যত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলি অত্যন্ত পরিশ্রম এবং গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
শনিবার, বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসাবে নিট-পিজি পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আগামী ২৩ জুন এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আইএমএ বলেছে, এতে নিট-পিজির ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা হবে বটে, কিন্তু, সরকার যে সংস্কারগুলি করেছে, তাতে এটা অনিবার্য ছিল। তারা বলেছে, “আমরা প্রতিশ্রুতি অনুসারে সরকারের থেকে শক্তিশালী ব্যবস্থার আশা করি।” এছাড়া, মেডিকেল, ডেন্টাল এবং অন্যান্য কোর্সে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিং যাতে সময়মতো শুরু হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে আইএমএ।