নয়া দিল্লি: নিট পরীক্ষায় দুর্নীতির (NEET Scam) পর্দাফাঁস। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল, তা জানা গেল। পরীক্ষার আগের দিনই ফাঁস হয়ে যায় নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ৩০ থেকে ৩২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত অমিত আনন্দ নিজেই এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
ডাক্তারি পরীক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা, নিট (NEET) নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে মেধাতালিকায় জালিয়াতি-একাধিক অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহেই পুলিশ বিহার থেকে নিট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, নিট দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড অমিত আনন্দ। পুলিশি জেরায় অমিত স্বীকার করে নিয়েছে যে পরীক্ষার আগের দিনই প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছিল। কত টাকায় সেই প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছিল, তাও জানা গিয়েছে।
জেরায় অমিত জানিয়েছে, পড়ুয়াদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৩০ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। ওই টাকার বিনিময়ে শুধু প্রশ্নপত্র ফাঁসই নয়, পরীক্ষার্থীদের রাতভর উত্তরগুলি পাখি পড়ার মতো পড়ানো হয়েছিল, যাতে তাঁরা পরীক্ষায় সমস্ত উত্তর লিখে আসতে পারে।
পুলিশ অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে যে পোড়া কাগজ পেয়েছিল, তা নিটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের কপিই। অমিত স্বীকার করে নিয়েছেন যে এর আগেও একাধিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে সে। পটনার এজি কলোনীর যে ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে থাকত অমিত, সেখানেই পড়ুয়াদের আসতে বলা হত ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করার জন্য। তার বদলে পড়ুয়াদের মাথা পিছু লাখ লাখ টাকা নেওয়া হত।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন ফলপ্রকাশ হয় নিট পরীক্ষার। মেধা তালিকায় প্রথম স্থানে ৬৭ জন পড়ুয়ার নাম রয়েছে তাতে। এরপরই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। মেধাতালিকায় থাকা বাকি পড়ুয়াদেরও যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। দেশজুড়ে নিট পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। চাপে পড়ে এনটিএ-র তরফে গ্রেস মার্কস প্রাপ্ত ১৫৬৩ জনের মার্কশিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে আগামী ২৩ জুন। ফল প্রকাশ হবে ৩০ জন। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই নিট-র কাউন্সেলিং বাতিল করা যাবে না। সিবিআই তদন্তের আর্জিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ জুলাই নিট-র কাউন্সেলিং।