Netaji Subhas Chandra Bose-র স্বাধীন ভারতের ‘কাণ্ডারি’, ‘শেষ সময়ের’ সঙ্গী, ভারতের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন জিন্নার পাকিস্তানের হয়ে!

Colonel Habib ur Rahman: নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব নিলে ক্যাপ্তেন মোহন সিংয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। আজাদ হিন্দ সরকারের ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফও হয়েছিলেন তিনি।

Netaji Subhas Chandra Bose-র স্বাধীন ভারতের কাণ্ডারি, শেষ সময়ের সঙ্গী, ভারতের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন জিন্নার পাকিস্তানের হয়ে!
Image Credit source: ullstein bild/ullstein bild via Getty Images and Wikipedia

Aug 02, 2025 | 8:10 AM

কর্নেল হাবিবুর রহমান। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম তিনি। প্লেন ক্র্যাশে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিলও কি না, তার একমাত্র স্বাক্ষী ছিলেন এই হাবিবুর। কারণ, ১৯৪৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, তাইহোকুতে ভেঙে পড়া প্লেনে নেতাজি ছাড়া ছিলেন কর্নেল হাবিবুর রহমান।

জম্মু ও কাশ্মীরের পাঞ্জেরিতে ১৯১৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান। এই পাঞ্জেরি বর্তমানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে পড়ে। লেখাপড়ার পর দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের পর ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগদান করেন তিনি। পরবর্তীতে জাপানের হাতে পরাজিত হন ও জাপানি সহায়তায় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।

পরবর্তীতে নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব নিলে ক্যাপ্তেন মোহন সিংয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। আজাদ হিন্দ সরকারের ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফও হয়েছিলেন তিনি। মন্ত্রী হিসাবে শপথও নেন।

ভারত স্বাধীন হলে, হাবিবুর পাকিস্তানে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে গিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের আর এক সেনা কর্তা মেজর জেনারেল জামান কিয়ানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানের হয়ে কাশ্মীর আক্রমণ করেন।

পরবর্তীতে, পাকিস্তানেই থেকে যান তিনি। তাঁর পূর্বপুরুষের ভিটে ভীমবেরের পাঞ্জেরিতেই মৃত্যু হয় আজাদ হিন্দ ফৌজের এই বীর সেনানির। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সরকার তাঁকে ফতেহ-ই-ভীমবের, ফকর-ই-কাশ্মীর ও গাজি-ই-কাশ্মীরের মতো উপাধিতে ভূষিত করে। তবে, নেতাজির নেতৃত্বে যে অবিভক্ত ভারতের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন বুকে নিয়েই ভীমবেরের মাটিতে আজও ঘুমিয়ে রয়েছেন কর্নেল হাবিবুর রহমান।