নিউ দিল্লি: আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের। শুক্রবার তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
প্রসঙ্গত, মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুকুল-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিং, সৌরভ সিং, পবন কুমার সিং এবং কবির শঙ্কর বসু। আবেদনে বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য যে ফৌজদারী মামলাগুলি করেছে, সেগুলির তদন্ত প্রক্রিয়া রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করা হোক। আর তা না হলে তদন্ত প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করার ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্ট যাতে হস্তক্ষেপ করে। বিজেপি নেতাদের দাবি, এই ধরনের মামলাগুলি তদন্তপ্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বাংলার এই বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করা যাবে না। তাঁদের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক সত্যব্রত বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি৷ সেই চার্জশিটে তৃণমূল বিধায়কের হত্যাকাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে মুকুল রায়ের নাম রাখা হয়েছে৷ মুকুল এই নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন।
পাশাপাশি এদিন শীর্ষ আদালতে শ্রীরামপুরের বিজেপিনেতা কবীর বসুর বিষয়টিও উত্থাপিত হয়। গত ৭ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে বিজেপি নেতা কবীর বসুর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি-র অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবেই গাড়ি ভাঙচুর করেছেন তৃণমূলের লোকজন। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি করে, কবীরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে মারধর করে। তা নিয়ে তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় সিআইএসএফ কর্মীদের। বিষয়টি কবীর বসুকে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে মুখ্যসচিব-ডিজি: সূত্র
এবিষয়েও কবীর বসু সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে একটি পিটিশন দাখিল করেন যে, কাস্টডিতে পুলিস তাঁকে মারধর করেছে। এই ঘটনায় এদিন শীর্ষ আদালত সিআইএসএফ-এর সেদিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী শুনানির দিন সেই রিপোর্টটি বন্ধ খামে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়ে বিজেপি নেতারা আপাতত স্বস্তিতে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।